চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল : আসানসোল কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে মুনমুন সেনের নাম ঘোষণার পরই নিজের প্রতিক্রিয়া খোলামেলাভাবে জানিয়েছিলেন ওই কেন্দ্রের বিদায়ী বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়৷ বলেছিলেন, তৃণমূল নেত্রী তাঁর বিরুদ্ধে সবসময়েই ‘সেন-সেশনাল’ প্রার্থী দেন৷ আগেরবার দোলা সেন, এবার মুনমুন সেন৷ বাবুল সুপ্রিয়র এই মন্তব্য ঘিরে তুমুল বিতর্ক হয়েছিল৷ আর এবার তিনি টুইটারে তৃণমূলের প্রার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়াকেই কাঠগড়ায় তুললেন৷
টুইটারে বাবুল লিখলেন, ‘আসানসোল থেকে জিতেন্দ্র তিওয়ারি, মলয় ঘটক, কিংবা যদি দাসুদাকে (ভিএস শিবদাসানি) প্রার্থী করা হত, তাহলেও বুঝতাম আসানসোলের মানুষকে গুরুত্ব সহকারে দেখছেন দিদি৷’ বিদায়ী সাংসদের আরও বক্তব্য, ‘মানুষ বলছেন, তাঁকে নাকি আসানসোল আসনটি ওয়াকওভার দিয়ে দেওয়া হল। গদিতে বসে যাঁরা আসানসোলের মানুষের সঙ্গে ‘গদ্দারি’ করেছেন, তাঁরাই জানতে চাইছেন বাবুল সুপ্রিয় কী কাজ করেছে৷’ এমনকী, জেলা তৃণমূল সম্পাদক অভিজিৎ ঘটক এবং প্রাক্তন সাংসদ বংশগোপাল চৌধুরীর নাম উল্লেখ করে তাঁদের বিশ্বাসঘাতক বলেছেন বাবুল সুপ্রিয়৷
তবে প্রথমবার আসানসোলের তৃণমূল প্রার্থী মুনমুন সেনকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের পর আবার বয়ান বদলে ফেলেন বাবুল৷ ব্যক্তি মুনমুন সেনের প্রশংসা করে বলেন, ‘মুনমুন সেন আমার বহুদিনের ব্যক্তিগত বন্ধু। এই আসানসোলেই একসঙ্গে শো করেছি। মুনমুনকে স্বাগত জানাচ্ছি। মুনমুন একজন উচ্চশিক্ষিত, ভদ্র মেয়ে। কাজেই আশা রাখি ভাষাটা ভদ্র থাকবে রাজনৈতিক ময়দানে। একে অন্যের বিরুদ্ধে কোনও নোংরা ভাষা ব্যবহার হবে না।’
কিন্তু রাজনৈতিক শিষ্টাচার ও ভাষার নিয়ে এমনই যখন বক্তব্য বাবুল সুপ্রিয়র, সেসময় তাঁর নিজের ভাষা ও রুচি নিয়ে প্রশ্ন তুলল স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। মুনমুন সেন প্রার্থী হওয়ার পর তিনি ‘সেন-সেশনাল’ শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন। এরপর বাবুলকে তাঁর ভাষাতেই বিদ্ধ করে ‘সেন-ডফ’ বলে কটাক্ষ করেছেন জেলা তৃণমূল সম্পাদক তথা মেয়র পারিষদ অভিজিৎ ঘটক। তিনি এদিন বাবুলের ‘বুল’ শব্দটিকে ব্যবহার করে তাঁকে খ্যাপা ষাঁড়ের সঙ্গে তুলনা করেন। হ্যাশট্যাগ দিয়ে লেখেন ‘অ্যাংরি বাবুল।’ তাঁর এই টুইট ঘিরেও সমালোচনার ঝড় উঠেছে৷ প্রতিপক্ষ নিয়ে বাবুলের মন্তব্যের পর আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তেওয়ারি বলেন, ‘৪৮ ঘন্টা উনি অপেক্ষা করুন, আমাদের সঙ্গে লড়াই করার সাধ পূরণ করে দেব। মুনমুন সেনের সঙ্গে প্রচারে জিতেন্দ্র, মলয়দা ও দাশুদা থাকবেন। তাই ওনার আক্ষেপ করার প্রয়োজন নেই।’ নির্বাচনী প্রচারের মরসুমে তৃণমূল-বিজেপির এই টুইটযুদ্ধের মতোই আসানসোলের ভোটযুদ্ধও বেশ জমবে বলে মনে করছেন সেখানকার বাসিন্দারা৷
গদিতে বসে আসানসোলের মানুষের সাথে যারা গাদ্দারি করেছে, তারাই আমাকে আজ জিজ্ঞেস করছে আসনসোলের জন্য আমি কি করেছি, যেমন অভিজিৎ ঘটক, বংশগোপাল চৌধুরী etc😡 আপনারা মমতাদিদির ‘ছানিশ্ৰী’ পোকল্পে ছানি কাটান – তাহলেই সব দেখতে পাবেন 😀
— Babul Supriyo (@SuPriyoBabul) March 13, 2019
Angry Ba-BULL is charging with fury when Asansolians are asking relevent questions.Unlike him I do not have specs and touch-wood don’t need an eye operation either. Let us know what sort of cataract operation will help the people to see Achhe Din and 15 lacs. in their banks pic.twitter.com/dTfEH2Tzdh
— Abhijit Ghatak (@Abhij869) March 14, 2019
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.