সুব্রত বিশ্বাস: যাত্রী থেকে কর্মী প্রত্যেকের নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দ্যের ব্যাপারে জোর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার। তা সত্বেও কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে টিকিট পরীক্ষকরা কাজ সেরে জরিমানার টাকা নিয়ে রাতভর স্টেশনে পড়ে থাকছেন। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। পাশাপাশি, শীতের রাতে খোলা স্টেশনে কাটাতে হচ্ছে বলে টিটিইদের অভিযোগ।
নিউনর্মালে দূরপাল্লার ট্রেন বাড়ছে। ১৩ ডিসেম্বর থেকে চালু হয়েছে গুয়াহাটি থেকে এরনাকুলাম, বেঙ্গালুরু ও সেকেন্দ্রাবাদের ট্রেন। এই ট্রেনগুলি আগে হাওড়া হয়ে গেলেও নিউ নর্মালে হাওড়া না ছুঁয়ে ডানকুনি হয়ে যাতায়াত করছে। এই পরিস্থিতিতে টিকিট পরীক্ষকদের হাওড়া হেড কোয়াটার্স-এ সই করে ডানকুনিযে গিয়ে ট্রেনে উঠতে হচ্ছে। হাওড়ার টিকিট পরীক্ষকরা ডানকুনি থেকে মালদা ট্রেনটি নিয়ে যাচ্ছেন ও আসছেন। অভিযোগ, মালদহ থেকে ট্রেনটি এরনাকুলাম যাওয়ার পথে ডানকুনিতে আসছে রাত বারোটার সময়ে। রাত বারোটায় ট্রেনটি ডানকুনি এলেও টিকিট পরীক্ষকদের কোনও রেস্ট রুম সেখানে না থাকায় স্টেশন মাস্টার তাদের জন্য কোনওরকম ব্যাবস্থা করছেন না। ফলে তাদের রাতভর খোলা স্টেশনে পড়ে থাকতে হচ্ছে। ওই স্টেশনে সংশ্লিষ্ট ট্রেনের গার্ড ও চালক পরিবর্তন হলেও তাদের হাওড়া আনার জন্য রেল গাড়ি পাঠানো হচ্ছে। তবে সেই গাড়িতে চড়তে দেওয়া হচ্ছে না টিটিইদের। ট্রেনটিতে হাওড়ার ছ’জন টিকিট পরীক্ষক ডানকুনিতে নামছেন। চরম ঝুঁকি নিয়ে তাদের স্টেশনে রাত কাটাতে হচ্ছে বলে জানান তাঁরা। সঙ্গে ইএফটি বিল ও জরিমানা আদায়ের সরকারি টাকা থাকায় তারা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন বলেও তারা অভিযোগ করেন।
ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ডিউটিতে প্রায় সব টিটিই এই অসুবিধায় পড়ায় ক্ষোভ বাড়ছে। হাওড়ার সিনিয়র ডিভিশনাল কমার্শিয়াল ম্যানেজার রাজীব রঞ্জন অবশ্য দাবি করেছেন, বিষয়টি তাঁর অজানা। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদিও রেলের কর্মী সংগঠন এহেন কাজে ক্ষুব্ধ। পূর্ব রেলের মেনস ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অমিত ঘোষ বলেন, রেল প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে গাফিলতি করছে। কর্মীদের এই পরিস্থিতিতে খোলা স্টেশনে ফেলে রাখায় সংক্রমণ বাড়ার পাশাপাশি দুস্কৃতী হামলার আশঙ্কা রয়েছে। অবিলম্বে ব্যবস্থা না নিলে তারা আন্দোলনে নামবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.