ছবি: প্রতীকী
স্টাফ রিপোর্টার: পেট্রল-ডিজেলের দাম আকাশছোঁয়া। স্বাভাবিক নিয়মে বেড়েছে বাসের ভাড়াও। কিন্তু, এবার কি বাড়তে চলেছে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দামও? সোমবার থেকে দেশজুড়ে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের শামিল হলেন ট্রাক মালিকরা। তারপরই উঠে গেল এই প্রশ্ন। ফেডারেশন অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রাক অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, ধর্মঘটের কারণে এ রাজ্যের রাস্তায় নামবে না প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ ট্রাক।
[বাজার ছেয়ে গিয়েছে ‘নকল’ কই মাছে, লোক ঠকাচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীরা]
শুধু এ রাজ্যে বলেই নয়, গোটা দেশে সড়কপথে পণ্য পরিবহণের প্রধান মাধ্যম ট্রাক। কিন্তু, সেই ট্রাকই যদি রাস্তায় না নামে, তাহলে পণ্য পরিবহণে বিঘ্নিত হবে। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের জোগান কমবে। সেক্ষেত্রে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দামও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, থার্ড পার্টি ইনসিওরেন্সের প্রিমিয়াম বাড়ানো-সহ একাধিক দাবিতে বহুদিন আগেই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিলেন ট্রাকমালিকেরা। দফায় দফায় তাঁদের সঙ্গে আলোচনায়ও বসেছিল প্রশাসন। কিন্তু, সমাধানসূত্র বেরোয়নি। তাই পূর্ব ঘোষণা মতোই সোমবার থেকে এ রাজ্য-সহ গোটা দেশে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করলেন ট্রাকমালিকরা। ফেডারেশন অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রাক অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সম্পাদক সজল ঘোষ বলেন, ‘পেট্রল-ডিজেলের দাম বৃদ্ধি এবং থার্ড পার্টি ইনসিওরেন্সের অস্বাভাবিক প্রিমিয়াম বৃদ্ধির প্রতিবাদে দেশজুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে আমাদের কেন্দ্রীয় সংগঠন। ধর্মঘটে শামিল হয়েছি আমরাও।’ তাঁর দাবি, এ রাজ্যে সোমবার থেকে রাস্তায় নামবে না সাড়ে তিন লক্ষ ট্রাক। ডিজেল ও পেট্রলের উপর জিএসটি ও পুলিশি জুলুম বন্ধের দাবিও তুলেছেন ট্রাকমালিকরা। এই ট্রাক ধর্মঘটের কারণে পণ্য পরিবরহণে অচলাবস্থা তৈরি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। মাছ, ডিম, কাঁচা আনাজের মতো নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যে পরিবহণে সমস্যায় পড়তে পারেন ব্যবসায়ীরা। আর গোটা দেশজুড়েই যেহেতু এই ধর্মঘট চলবে। তাই ভিন রাজ্য থেকেও এ রাজ্যে কোনও ট্রাক ঢুকবে না। ফলে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে যেতে পারে।
এদিকে আবার ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে সোমবার থেকে ৭২ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিলেন লাক্সারি ট্যাক্সি মালিকরা। রবিবার তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসে সরকার। আপাতত ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিয়েছে লাক্সারি ট্যাক্সি মালিকদের সংগঠন। জয়েন্ট কাউন্সিল অফ লাক্সারি ট্যাক্সি অস্যোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত ঘোষ বলেন, ‘আমরা আবেদন করেছিলাম ওলা-উবেরের চালকরা যেন সঠিক টাকা পায়। বিষয়টি বিবেচনা করে দেখার আশ্বাস দিয়েছে সরকার। বুধবার পর্যন্ত আমরা সরকারকে সময় দিচ্ছি।’
ছবি: অরূপ বসাক
[দূষণ রোধে শালপাতা শিল্পকে বাজারমুখী করতে উদ্যোগ নিচ্ছে রাজ্য]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.