জাতীয় সড়কে বালিবোঝাই লরির ধাক্কায় মৃত্যু এএসআইয়ের

সন্দীপ মজুমদার, উলুবেড়িয়া: জাতীয় সড়কে বালিবোঝাই লরির ধাক্কায় মৃত্যু হল এক পুলিশ আধিকারিকের৷ কর্তব্যরত অবস্থায় রাস্তা পারাপারের সময় এই দুর্ঘটনাটি ঘটে৷ নিহতের নাম দীপংকর সাহা৷ তিনি রাজাপুর থানার এএসআই ছিলেন৷ বালিমাফিয়াদের দৌরাত্ম্যে তাঁর মৃত্যু নাকি এটি নিছকই দুর্ঘটনা, তা খতিয়ে দেখছেন পুলিশ আধিকারিকরা৷

[মেঘ সরতেই রোদ ঝলমলে আকাশ, জাঁকিয়ে শীত গোটা রাজ্যে]

মঙ্গলবার গভীর রাতে খলিশানি কালীতলা এলাকার জাতীয় সড়কে ডিউটি করছিলেন দীপংকর সাহা নামে ওই এএসআই। রাত আড়াইটে নাগাদ দীপংকরবাবু শুনশান মুম্বই রোডের এক লেন থেকে অন্য লেনে যাচ্ছিলেন৷ সেই সময়ই একটি বালিবোঝাই লরি কোলাঘাটের দিক থেকে হাওড়ায় আসছিল৷ রাস্তা পারাপারের সময় আচমকাই ওই লরির চাকায় পিষে যায় এএসআই দীপংকর সাহার শরীর৷ ঘটনাস্থলেই মারাও যান ওই পুলিশ আধিকারিক৷ গভীররাতে দুর্ঘটনাটি ঘটায় বেশ কিছুক্ষণ জাতীয় সড়কেই পড়েছিল তাঁর দেহ৷ পরে যদিও অন্যান্য পুলিশকর্মীরাই তাঁর দেহ উদ্ধার করে৷ তাঁর বাড়িতে দুর্ঘটনার খবরও জানানো হয়েছে৷ খবর পেয়েই কান্না ভেঙে পড়েন এএসআইয়ের পরিজনেরা৷

[শহরের অদূরে লেদ কারখানার আড়ালে অস্ত্রভাণ্ডার, পুলিশের জালে ৩]

নিহত দীপংকর সাহা, উত্তর ২৪ পরগনার বারাকপুরের বাসিন্দা৷ কর্মসূত্রে যদিও হাওড়াতেই থাকতেন তিনি৷ বছর পঁয়ত্রিশের দীপংকরের  কর্মজীবন খুব বেশি বছরের নয়৷ প্রথমে হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশ সুপারের অফিসে কর্মরত ছিলেন দীপংকর৷ নিরাপত্তার স্বার্থে মাসপাঁচেক আগে উলুবেড়িয়া থানাকে দু’ভাগে ভাগ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য প্রশাসন৷ তার জেরে তৈরি হয় রাজাপুর থানা৷ ওই রাজাপুর থানায় এএসআই পদেই নিযুক্ত হন দীপংকর৷ সহকর্মীদের দাবি, অত্যন্ত দায়িত্ববান ছিলেন তিনি৷ সেই সুবাদেই অল্প সময়ে পদোন্নতি হয়েছিল তাঁর৷

[অপমান করেছে স্ত্রী, দুই ছেলেকে নিয়ে রেললাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী যুবক]

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, জাতীয় সড়কে ক্রমশই বাড়ছে দুর্ঘটনা৷ এক সপ্তাহের মধ্যে জাতীয় সড়কে এই নিয়ে দুটি বড় দুর্ঘটনা ঘটল৷ প্রাণ গেল এএসআই-সহ বেশ কয়েকজন৷ রাতের জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনা এড়াতে গাড়ির গতি বেঁধে দেওয়া রয়েছে৷ তা সত্ত্বেও কেন গাড়িচালকেরা এই নিয়ম মানছেন না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷