Advertisement
Advertisement

শুভেন্দুর হাত ধরে মুর্শিদাবাদে দ্বিতীয় শক্তি তৃণমূল

স্বপ্ন সফল হল দলনেত্রীর৷ পরিশ্রম সার্থক হল জেলার পর্যবেক্ষকের৷

Trinamool's Suvendu Adhikari won by a whopping margin
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:May 20, 2016 11:52 am
  • Updated:May 30, 2023 5:28 pm  

নিজস্ব সংবাদদাতা: স্বপ্ন সফল হল দলনেত্রীর৷ পরিশ্রম সার্থক হল জেলার পর্যবেক্ষকের৷

তৃণমূল দল গড়া ইস্তক মুর্শিদাবাদের মাটিতে ঘাসফুল ফোটেনি৷ লোকসভা থেকে বিধানসভা, পঞ্চায়েত থেকে পুরসভা, সব নির্বাচনেই বলতে গেলে খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে তৃণমূলকে৷ শুধু গত বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গড়ে জেলার কেবলমাত্র সাগরদিঘি আসনটি জয়লাভ করতে সক্ষম হয়েছিল শাসক দল৷ এই ‘অনুর্বর’ জমিতে ঘাসফুল ফোটানোর দুরূহ কাজ শুভেন্দু অধিকারীকে সঁপেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ জেলার পর্যবেক্ষকের গুরুদায়িত্ব তুলে দিয়েছিলেন শুভেন্দুর কাঁধে৷ সফলভাবে সেই দায়িত্ব সম্পন্ন করলেন শুভেন্দু৷ জেলায় চারটি আসন লাভ করল তৃণমূল৷ যা এককথায় নজিরবিহীন৷

Advertisement

মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ, জঙ্গিপুর, হরিহরপাড়া ও সাগরদিঘি আসনে জয়লাভ করলেন তৃণমূল প্রার্থীরা৷ এর মধ্যে কেবলমাত্র সাগরদিঘি আসনটিই দখলে ছিল শাসক দলের৷ বাকি তিনটি আসন বাম-কংগ্রেস জোটের থেকে ছিনিয়ে নিল তৃণমূল৷ সামশেরগঞ্জ ও হরিহরপাড়া আসন দু’টি ছিল সিপিএমের দখলে এবং জঙ্গিপুর ছিল কংগ্রেসের দখলে৷ অর্থাৎ, বাম ও কংগ্রেস, দু’দলের ঘর ভেঙেই মুর্শিদাবাদে এই প্রথম এককভাবে ঘাসফুল ফুটল৷

পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পাওয়ার পর গোটা মুর্শিদাবাদ চষে ফেলেন শুভেন্দু৷ একাধিক কর্মিসভা ও জনসভা করেন তিনি৷ একেবারে বুথস্তর থেকে সংগঠন গড়ার কাজ শুরু করে দেন নন্দীগ্রামের সদ্য নির্বাচিত বিধায়ক৷ দলের সব গোষ্ঠীকে একছাতার তলায় নিয়ে আনতে সক্ষম হন তিনি৷ এর মধ্যে কংগ্রেস ছেড়ে প্রাক্তন সাংসদ মান্নান হোসেন ও রাজ্য যুব কংগ্রেসের সভাপতি সৌমিক হোসেন তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর রীতিমতো চাঙ্গা হয়ে ওঠে তৃণমূল৷ পঞ্চায়েত ভোটে মাত্র ছ’টি গ্রাম পঞ্চায়েত ও একটি পঞ্চায়েত সমিতিতে জয়লাভ করেছিল তৃণমূল৷ কিন্তু এক বছর দায়িত্ব নেওয়ার পরই গ্রাম পঞ্চায়েতের সংখ্যাটা ১০০তে পৌঁছে দেন শুভেন্দু৷ অন্য দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার হিড়িক পড়ে যায়৷

মুখ্যমন্ত্রী মুর্শিদাবাদের প্রতিটি সভাতেই বলেছিলেন, আরও উন্নয়ন করতে চাই৷ আমাদের সুযোগ করে দিন৷ মমতার এই আবেদন যে সাধারণ মানুষের মন ছুঁয়ে গিয়েছিল, নির্বাচনের  ফলই তার প্রমাণ৷ ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে মুর্শিদাবাদে ১৬ শতাংশ ভোট পেয়েছিল তৃণমূল৷ কিন্তু এই বিধানসভায় প্রাথমিক হিসাবে তৃণমূলের ভোটপ্রাপ্তি প্রায় ৩০ শতাংশ৷

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement