Advertisement
Advertisement
Trinamool MLA Rukbanur Rahman faces fraud charges

শিক্ষকের চাকরি দেওয়ার নামে আর্থিক ‘প্রতারণা’, কাঠগড়ায় তৃণমূল বিধায়ক রুকবানুর

বীরভূমের নলহাটির তৃণমূল নেতা এমদাদুল হকের বিরুদ্ধেও উঠেছে প্রতারণার অভিযোগ।

Trinamool MLA Rukbanur Rahman faces fraud charges । Sangbad Pratidin
Published by: Sayani Sen
  • Posted:July 15, 2022 8:48 pm
  • Updated:July 15, 2022 8:48 pm  

বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: শিক্ষকের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে নদিয়ার পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার বিরুদ্ধে। এবার প্রায় একই অভিযোগ উঠল চাপড়ার তৃণমূল বিধায়ক রুকবানুর রহমানের বিরুদ্ধে। প্রতারণা কাণ্ডে নাম জড়িয়েছে বীরভূমের নলহাটির তৃণমূল নেতা এমদাদুল হকেরও। তা নিয়ে চলছে জোর শোরগোল।

বিধায়কের রুকবানুর রহমানের (Rukbanur Rahman) বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রায় ৬ বছর আগে উচ্চ প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকের চাকরি দেওয়ার নামে চাপড়ার বাসিন্দা পাঁচজনের কাছ থেকে মোট ২৪ লক্ষ টাকা আদায় করে। বিধায়ক রুকবানুর রহমান নিজের হাতে টাকা নেননি। তাঁর সর্বক্ষণের সঙ্গী শুকদেব ব্রহ্মকে টাকা দিতে বলেন। চাকরি পাওয়া তো দূর। টাকাও ফেরত পাননি ওই পাঁচজন। বাধ্য হয়ে সরাসরি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ জানান প্রতারিতরা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বিয়ে করতে চাপ, জঙ্গলে ডেকে কিশোরী প্রেমিকাকে খুন যুবকের]

২০১১ সালে চাপড়া বিধানসভায় প্রথমবার বিধায়ক হন রুকবানুর রহমান। ২০১৬ সালেও তিনি বিধায়ক নির্বাচিত হন। ২০২১ সালে তাঁর বিরুদ্ধে চাপড়া ব্লক তৃণমূলের তৎকালীন সভাপতি জেবের শেখ নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ান। তবে সেবারও রুকবানুর রহমানই জিতে যান। ফলে টানা তিনবারের জন্য বিধায়ক হন রুকবানুর রহমান।

তিনি ‘সংবাদ প্রতিদিন’কে বলেন, “এটা সম্পূর্ণ ফালতু অভিযোগ। যে অভিযোগ করেছেন, সেই আবার পরে টাকা পেয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন। চাপড়ার অনেকেই বিধায়ক, সাংসদের নামে টাকা তুলেছেন। কাকে কে টাকা দিয়েছেন, সেটা আমি তো বলতে পারব না। এখন অনেকেই বলছেন, বিধায়ক টাকা নিয়েছেন।কিন্তু কে, কোথায়, কার কাছ থেকে টাকা তুলেছেন, সেই হিসাব আমার কাছে চাইবে নাকি? আপনারা যাকে টাকা দিয়েছেন, তার কাছে গিয়ে হিসাব বুঝে নিন। আমি তাদের বলেছি ভাই আমার নাম নিও না। আমার নাম নিয়ে কী লাভ আছে? আমার হাতে কি তুমি টাকা দিয়েছ? অন্যের হাতে টাকা দিয়েছ। কার হাতে দিয়েছ, কে কী প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, সেটা তো আর আমি জানি না। চাপড়ায় কিছু হলেই সকলে আমার নামে আঙুল তোলে।” বিধায়কের সঙ্গী শুকদেব ব্রহ্মর গলাতেও একই সুর। তাঁর বক্তব্য, “এটা তৃণমূল নেতাদের কালিমালিপ্ত করার চক্রান্ত। অভিযোগ যে কেউ করতেই পারেন, তবে তার তদন্ত করবে দল।”

[আরও পড়ুন: ভাতারের স্কুলের অঙ্কের শিক্ষক ও ভূগোলের শিক্ষিকার ভিডিও ভাইরাল! উঠছে সাসপেন্ডের দাবি]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement