Advertisement
Advertisement

Breaking News

প্রচার

দলের প্রতি অভিমান, ভোটের মুখে গুসকরায় প্রচার বিমুখ তৃণমূলের একাংশ

দলের অন্দরের মনোমালিন্য কতটা প্রভাব ফেলবে ভোটবাক্সে?

Trinamool Congress workers allege insult by Anubrata Mandal
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:March 20, 2019 5:47 pm
  • Updated:March 20, 2019 5:47 pm  

ধীমান রায় , কাটোয়া: একদিকে যেমন রাজ্য জুড়ে প্রবলভাবে প্রচার চালাচ্ছে শাসক-বিরোধী সব দল। সেই সময়ে দাঁড়িয়ে ছবিটা ভিন্ন বর্ধমানের গুসকরা এলাকায়। দেওয়ালে চুন হয়েছে। তবে প্রার্থীর নাম লেখা হয়নি। কারণ, হিসেবে উঠে এসেছে দলের প্রতি কর্মীদের একাংশের অভিমানের কথা। জানা গিয়েছে, আত্মসম্মানের খাতিরেই দলের উচ্চস্তরের নেতাদের নির্দেশের অপেক্ষায় স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বরা।

[সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে ক্ষোভ চরমে, দল ছাড়ার হুঁশিয়ারি বিজেপি নেতাদের]

ঘটনার সূত্রপাত নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগে। ভোটের দিন ঘোষণার আগের দিন আউশগ্রাম বিধানসভা এলাকায় ২ নম্বর ব্লকে কর্মিসভা করেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা আউশগ্রাম এলাকার দলীয় পর্যবেক্ষক অনুব্রত মণ্ডল। এদিন  বিকেলে গুসকরা শহরের কলেজমাঠে আউশগ্রাম ১ নম্বর ব্লকে কর্মী সম্মেলন করেন। দলীয় কর্মীদের একাংশের অভিযোগ, সেই সম্মেলনে ডাকা হয়নি তাঁদের। এতেই ক্ষোভ জমেছে তাঁদের মনে।  কিছুটা অভিমান থেকেই উচ্চস্তরের নেতৃত্বের নির্দেশের অপেক্ষায় তাঁরা। তাঁদের কথায় যতটুকু নির্দেশ মিলবে উপর মহল থেকে ততটুকুই করা হবে। সেই কারণে গুসকরা এলাকার একাধিক দেওয়ালে চুন পড়েছে ঠিকই, তবে এখনও কারও নাম প্রার্থীর নাম লেখা হয়নি।

Advertisement

এ প্রসঙ্গে গুসকরা পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের বিদায়ী কাউন্সিলর রাখি মাজি বলেন, “ আমরা এখনও প্রচার শুরু করিনি, কারণ কলেজ মাঠে দলের কর্মী সম্মেলনে আমাদের ডাকা হয়নি। কর্মী হিসাবে আমাদের স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। তাতে আমরা অপমানিত বোধ করেছি। সেই কারনেই চুপচাপ বসে আছি। দেওয়ালে চুন বুলিয়ে রেখেছি, দল বলেনি বলে কিছু লিখিনি।” গুসকরা পুরসভা ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর মৃত্যুঞ্জয় মণ্ডলের কথায়ও অভিমানের সুর, তিনি বলেন “ যেদিন অনুব্রত মণ্ডল কলেজ মাঠে কর্মী সম্মেলন করেছিলেন আমি দলের স্থানীয় নেতৃত্বকে বারবার জিজ্ঞাসা করেছিলাম সভায় যাব কিনা। কিন্তু সেদিন আমাদের বলা হয়েছিল দলের তরফে কোনও নির্দেশ নেই। তাই আমাদের সেখানে যেতে দেওয়া হয়নি। পাঁচবছর ধরে পুরসভার এই ওয়ার্ডের দায়িত্বে রয়েছি। কোনওদিন দলের বিরোধিতা করিনি। তবে এই অপমান মেনে নেওয়া যায় না।”

[রোগীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার, চিকিৎসকের চেম্বারে ভাঙচুর পরিজনদের]

দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গুসকরা পুর এলাকায় ভোটের প্রচারে দেওয়াল লিখনের জন্য দল থেকে ওয়ার্ড পিছু খরচ দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। কর্মীদের সেই টাকা দিতে গিয়েছিলেন তৃণমূলের গুসকরা শহর কমিটির সভাপতি কুশল মুখোপাধ্যায়। কিন্তু টাকা নিতে রাজি হননি ওই বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলররা। যদিও কুশলবাবু জানিয়েছেন, “ এধরনের কোনও ঘটনা ঘটেনি।” তবে ভোটের ময়দানে ঠিক কতটা প্রভাব ফেলবে এই মনোমালিন্য? তা ভাবাচ্ছে জেলা নেতৃত্বকে।

ছবি: জয়ন্ত দাস

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement