Advertisement
Advertisement
তৃণমূল

পুকুর থেকে উদ্ধার নিখোঁজ তৃণমূল কর্মীর দেহ, খুনের অভিযোগ পরিবারের

রাজনৈতিক বিবাদে খুন নাকি ব্যক্তিগত আক্রোশে, ধন্দে পুলিশ।

Trinamool Congress worker found dead in East Burdwan

ছবি: প্রতীকী

Published by: Paramita Paul
  • Posted:December 4, 2019 1:16 pm
  • Updated:December 4, 2019 2:08 pm  

 সৌরভ মাজি, বর্ধমান: ফের তৃণমূলকর্মী খুন! বাসন্তির পর এবার পূর্ব বর্ধমান। মৃতের নাম অনিল মাঝি। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে নিখোঁজ থাকার পর বুধবার সকালে রাস্তার পাশের পুকুর থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। মাথা থেঁতলে খুন করা হয়েছে বলে খবর। পাশের পুকুরটি থেকে মিলেছে তাঁর বাইকটিও। এই ঘটনায় পূর্ব বর্ধমানে মাধবডিহি থানার আলমপুরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পারিবারিক বিবাদ নাকি রাজনৈতিক আক্রোশের বসেই অনিলকে খুন করা হয়েছে তা নিয়ে জেলাজুড়ে তুঙ্গে উঠেছে জল্পনা। এদিন বেলার দিকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ মর্গে আসেন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ।তাঁর অভিযোগ, “তৃণমূলের দক্ষ সংগঠক ছিলেন অনিল মাঝি। তাই চক্রান্ত করে বিজেপি ওঁকে খুন করেছে। এসপি-র সঙ্গে কথা বলে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়েছি। মৃতের পরিবারের পাশে আছি।”

[আরও পড়ুন : কলকাতা মেডিক্যালে ফাটল, আতঙ্কে রোগীরা ]

রাজ্যজুড়ে একের পর এক রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা ঘটছে। মঙ্গলবারও বাসন্তিতে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে এক তৃণমূলকর্মী খুন হন। দোষীদের শাস্তির দাবিতে উত্তাল হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তি। অবরোধ করা হয় জাতীয় সড়কও। শেষপর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর ফোনে অবরোধ তুলে নেন তৃণমূলকর্মীরা। দুই বর্ধমানও রাজনৈতিক হিংসায় উত্তাল হয়েছে। তবে তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনা ঘটেনি। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন : ছেলের সহপাঠীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ, ধৃত ঝাড়গ্রামের বিজেপি নেতা]

আলমপুর পূর্ব পাড়ার বাসিন্দা ছিলেন অনিল মাঝি। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে বাজারে গিয়েছিলেন।তারপর আর বাড়ি ফেরেননি। রাতভর ফোন করলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। এদিন সকালে স্থানীয়রা রাস্তার ধারে পুকুরে মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে মাধবডিহি থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে। জানা গিয়েছে, অনিলের বাড়ি থেকে বেশ কিছুটা দূরেই তাঁর দেহ মেলে। মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাতের চিহ্ন মিলেছে।পরিবারের দাবি, খুন করা হয়েছে অনিলবাবুকে। তবে তাঁর সঙ্গে কারওর রাজনৈতিক শত্রুতা ছিল কিনা, সে বিষয়ে পরিবারের সদস্যরা কিছু বলতে পারেননি।

পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। খুনের কথা স্বীকার করে নিলেও রাজনৈতিক হিংসার তত্ব উড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ। এদিনই বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ পাঠানো হয়েছে।পরে হাসপাতালের মর্গে যান মন্ত্রী স্বপন দেবনাথও। রাজনৈতিক কারণে খুন না কি ঘটনার পিছনে অন্য কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement