ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: নৈহাটি পুরসভা পুনরুদ্ধার করল রাজ্যের শাসকদল৷ পুরসভার ৩১ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ২৩ জনই তৃণমূলের সঙ্গে আছে বলে শনিবার সাংবাদিক সম্মেলনে দাবি করলেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম৷ তাঁর কথায়, ‘লোকসভা ভোটের পর তৃণমূল কাউন্সিলরদের ভুল বুঝিয়ে বিজেপিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল৷ কিন্তু সকলেই ভুল বুঝতে পেরে আবার ফিরে এসেছেন৷ এখন ২৩ জন কাউন্সিলরই আমাদের সঙ্গে রয়েছেন৷’ ফলে এবারের মতো নৈহাটি পুরসভার দখল রাখতে সক্ষম হল তৃণমূল৷
পুরসভা বাঁচাতে মাস তিনেক আগেই নৈহাটিতে প্রশাসক বসিয়েছিলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম৷ গত পুরভাটে ৩১ আসনের পুরসভায় সবকটি আসনে জিতেছিল তৃণমূল৷ কিন্তু লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই পরিস্থিতি বদলে যেতে থাকে। সম্প্রতি দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন নৈহাটি পুরসভার ২৯ জন তৃণমূল কাউন্সিলর। মাস তিনেক আগে পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন ১৮ জন দলত্যাগী কাউন্সিলর। ভোটাভুটি চেয়ে নৈহাটি পুরসভার পুর আধিকারিকের কাছে চিঠি দেন তাঁরা। এরপরই নৈহাটি পুরসভায় ক্ষমতা ধরে রাখতে তৎপরতা শুরু হয় তৃণমূল শিবিরে। নবান্নে দপ্তরের সচিবের সঙ্গে বৈঠকের পর আস্থা ভোটে না গিয়ে নৈহাটি পুরসভায় প্রশাসক বসানোর সিদ্ধান্ত নেন পুর ও নগরোয়ন্নন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
কিন্তু এনিয়ে আলোচনা জারি ছিল তারপরও৷ অভিযোগ ওঠে, বিজেপিতে যোগ দেওয়া ১৮ জন কাউন্সিলরের মধ্যে চারজন আচমকা বেপাত্তা হয়ে যান। বেলা বিশ্বাস, অঞ্জনা সেনগুপ্ত, রুবি চট্টোপাধ্যায়, রিনা সূতার নামে চারজনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এদিন কাউন্সিলর রুবি চট্টোপাধ্যায়ের খোঁজ নিতে গেলে তাঁর দেখা মেলেনি। তাঁর পরিবারের সদস্যরা বলেন, “তিনি বুধবার বাড়ি থেকে বেরিয়েছেন। কিন্তু কোথায় গিয়েছেন তা বলে যাননি।”
নির্ভরযোগ্য সূত্র মারফৎ জানা যায়, তৃণমূলের উচ্চ নেতৃত্বের কৌশলে ওই চারজন নৈহাটি ছেড়ে অন্যত্র আত্মগোপন করে রয়েছেন। সুবিধামতো তাঁরা তৃণমূলে ফিরে আসবেন। চারজনের মধ্যে দু’জন বকখালি এবং দু’জন মন্দারমনিতে ছুটি কাটাচ্ছেন। এসবের মধ্যেই খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক দাবি করেছিলেন, কাঁচড়াপাড়া, হালিশহরের মতোই নৈহাটি পুরবোর্ডও তাঁদের দখলেই আসবে। ‘ঘর ওয়াপসি’র মাধ্যমেই সেটা হবে৷ শনিবার তাঁর সেই আত্মবিশ্বাসই প্রতিফলিত হল৷ তৃণমূলে ফিরে এসে পুরবোর্ডের দখল নিলেন দলের সংখ্যাধিক্য কাউন্সিলর৷
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.