রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: ‘উন্নয়নের একশো দিন, অতীত ও বর্তমান মিলিয়ে নিন’। একশো দিনের প্রকল্পকে হাতিয়ার করে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে প্রচারে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বস্তুত, এলাকায় শাসকদলের হয়ে ভোটের কাজও করছেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারাই।
[ আরও পড়ুন: রাজনৈতিক দলে ভরসা নেই, গোর্খাল্যান্ড ইস্যুতে দাজির্লিংয়ে একঝাঁক নির্দল প্রার্থী]
এ রাজ্যে জমি আন্দোলনের আঁতুড়ঘর পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম। বাম আমলে নন্দীগ্রামে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৪ জন নিরীহ গ্রামবাসী। সেই ঘটনার স্মরণে প্রতি বছর ‘নন্দীগ্রাম দিবস’ পালন করে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল কংগ্রেস জমানায় একশো দিনে প্রকল্পের এলাকায় উন্নয়নও কম হয়নি। ভোটের আগে বই আকারে একশো দিনের প্রকল্পে সাফল্যের খতিয়ান প্রকাশ করেছে নন্দীগ্রাম এক নম্বর ব্লক প্রশাসন। বইয়ের নাম ‘একশো কথা’। পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে ১০০ দিনে প্রকল্পে শুধুমাত্র নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকে খরচ হয়েছে ৩১ কোটি টাকা। বছরে গড়ে ৭৬ দিন কাজ পেয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। রাস্তা তৈরি তো বটেই, একশো দিনের প্রকল্পে পুকুর কাটা, ফলের বাগান ও পানের বরজ তৈরি, নালা পরিষ্কারের মতো নানা কাজ চলছে নন্দীগ্রামে।
শুধু কি একশো দিনের কাজ! আরও নানা প্রকল্পের উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ চলছে নন্দীগ্রামে। প্রশাসন সূত্রে খবর, চতুর্দশ অর্থ কমিশন, সিএফসি ফান্ড ও হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ থেকে উন্নয়নের জন্য টাকা আসছে। নন্দীগ্রামে গড়ে ওঠেছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে, হলদি নদীর তৈরি আম বাগান, চাষিদের জন্য পৃথক বাজার। বহুমুখী উন্নয়নের স্বাদ পেয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠীতে কাজ করে রোজগার করছেন মহিলারাও। আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরেছে পরিবারে। নন্দীগ্রামে সরকারি কাজে খুশি স্থানীয় মানুষেরা। কৃতজ্ঞতাবশতই স্বেচ্ছায় তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে প্রচার করছেন মহিলারা। রাজনৈতিক মহলের মতে, একশো দিনের কাজই নন্দীগ্রামে বিরোধীদের থেকে কয়েক যোজন এগিয়ে রেখেছে তৃণমূল কংগ্রেসকে।
[ আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সভার পর অশান্তি-সংঘর্ষ, কোচবিহারে নিহত বিজেপি কর্মী ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.