সৈকত মাইতি ও রঞ্জন মহাপাত্র: শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সহায়তা কেন্দ্র দখলের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার সকালে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কাঁথি। তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন দাদার অনুগামীরা। বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা কনিষ্ক পণ্ডার কথায়, “এভাবে দখল করে কোনও লাভ হবে না। মানুষের হৃদয়ে রয়েছন শুভেন্দু।”
অভিযোগ, এদিন সকালে আচমকাই পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) কাঁথির ৪ নম্বর ওয়ার্ডে শুভেন্দু অধিকারীর সহায়তা কেন্দ্রে চড়াও হন তৃণমূলের কর্মীরা। মুছে দেওয়া হয় গেরুয়া রং। নতুন করে নীল-সাদা রংও করে তাঁরা। বিষয়টি জানাজানি হতেই কার্যত ক্ষোভে ফেটে পড়েন দাদার অনুগামীরা। উত্তেজনা তৈরি হয় এলাকায়। এবিষয়ে দাদার অনুগামী তথা বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা কনিষ্ক পণ্ডা বলেন, “তৃণমূলের কাজই দখল করা। ওরা বরাবরই এভাবে চলছে। কিন্তু আমরা মানুষের মনের দখল নিয়ে ফেলেছি। আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।” তাঁর কথায়, “দিদি অনেক বেশি দেরি করে ফেলেছেন। দিদির তৃণমূলে আর কেউ থাকবে না।” এদিন শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপি যোগের জল্পনা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে কনিষ্ক বলেন, “শুভেন্দু বিজেপিতে গেলে প্রকাশ্যেই যাবেন। লুকোচুরি করে নয়। তবে এখনই বিষয়ে কিছু বলার নেই।” যোগদানের জল্পনাকে খুব একটা গুরুত্ব না দিলেও এদিন দাদার এই অনুগামী বলেন, আমফানের থেকেও প্রবল ঝড় আসছে, ‘গেরুয়া ঝড়’। এই মন্তব্যই বাড়িয়েছে জল্পনা। এই কার্যালয় দখল প্রসঙ্গে দেশপ্রান পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি তরুণ জানা বলেন, “এটি ব্যাবসায়ীদের অফিস, তৃণমূল পরিচালনা করত। কিন্তু কোনও ব্যবসায়ীকে না জানিয়ে হঠাৎ করে শুভেন্দুবাবুর কার্যালয় করে দেওয়া হয়। তাই ব্যবসায়ীরা গেরুয়া রং মুছে নীল-সাদা রং করেছে। এখানে দখলের কোনও ব্যাপার নেই।”
উল্লেখ্যে, বেশ কিছুদিন ধরেই দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছিল প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর। শুরু হয়েছিল দলবদলের জল্পনা। এসবের মাঝেই নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে মন্ত্রিত্ব ত্যাগ করেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই থেকেই রাজনৈতিক মহলে আলোচনা শুরু হয় যে গেরুয়া শিবিরে যাচ্ছেন শুভেন্দু। এরই মাঝে বুধবার নন্দীগ্রামের বিধায়ক পদ থেকেও ইস্তফা দেন মেদিনীপুরের দাপুটে নেতা শুভেন্দু অধিকারী।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.