Advertisement
Advertisement

Breaking News

Sandeshkhali

হাত-পা বাঁধা, সন্দেশখালিতে আদিবাসী যুবতীর দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য

বাড়ির অদূরে পুকুর থেকে উদ্ধার আদিবাসী যুবতীর দেহ। তিনদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে অনুমান, খুন করা হয়েছে তাঁকে।

Tribal girls body recovers in Sandeshkhali

ছবি: প্রতীকী

Published by: Sayani Sen
  • Posted:December 7, 2024 10:42 am
  • Updated:December 7, 2024 12:27 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাড়ির অদূরে পুকুর থেকে উদ্ধার আদিবাসী যুবতীর দেহ। তিনদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে অনুমান, খুন করা হয়েছে তাঁকে। তবে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছে কিনা, তা এখনও নিশ্চিত নয়। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের ন্যাজাট থানার কালীনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটিহারা এলাকার ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা।

ওই যুবতী বসিরহাটের ন্যাজাট থানার কালীনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটিহারার ঘোষপুরের বাসিন্দা। উচ্চমাধ্যমিক পড়ুয়া। গত ৪ ডিসেম্বর বিকেলে বাড়ি থেকে বেরন তিনি। রাত হয়ে গেলেও আর বাড়ি ফেরেননি। স্বাভাবিকভাবেই শুরু হয় খোঁজখবর। এলাকায় খোঁজাখুঁজির পাশাপাশি আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধবদের বাড়িতেও খোঁজ শুরু হয়। তাতেও বিশেষ লাভ হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে ঘোষপুরের বাসিন্দা ওই যুবতীর পরিবারের লোকজন থানার দ্বারস্থ হন। ন্যাজাট থানায় নিখোঁজ ডায়েরও করেন। তাতেও বিশেষ লাভ হয়নি। কোনও খোঁজ মেলেনি মেয়ের।

Advertisement

শনিবার সকালে ঘটিহারা এলাকার একটি পুকুরে দেহ ভাসতে দেখা যায়। তা নিয়ে হইচই শুরু হয়। খবর দেওয়া হয় ন্যাজাট থানায়। তড়িঘড়ি পুলিশকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। পুকুর থেকে দেহ উদ্ধার করা হয়। সেই সময় দেখা যায়, তরুণীর হাত-পা বাঁধা রয়েছে। নিখোঁজ যুবতীর বাড়ি থেকে ৫০০ মিটার দূরে অবস্থিত ওই পুকুরটি। তাঁর পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ শনাক্ত করে। পরিবারের দাবি, পরিকল্পনামাফিক তাঁকে খুন করে দেহ পুকুরের জলে ফেলে দেওয়া হয়েছে। খুনের আগে ধর্ষণের আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না নিহতের পরিজনেরা। হাত-পা বাঁধা অবস্থায় দেহ উদ্ধার হওয়ায় প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীরা মনে করছেন, খুনই করা হয়েছে যুবতীকে। তবে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছে কিনা, তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে না আসা পর্যন্ত জানা সম্ভব নয় বলেই মনে করছে পুলিশ। ওই যুবতীর দেহ বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার পুলিশ মর্গে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ আপাতত মৃতের কললিস্ট খতিয়ে দেখছে। পরিবারের লোকজনের সঙ্গেও কথা বলছেন তদন্তকারীরা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement