Advertisement
Advertisement

Breaking News

পাচারের চেষ্টা বানচাল, চার আদিবাসী কিশোরকে উদ্ধার করল পুলিশ

কাজের টোপে ভিনরাজ্যে পাচারের চেষ্টার অভিযোগ।

Tribal boys rescued by Police
Published by: Tanumoy Ghosal
  • Posted:February 27, 2019 9:11 pm
  • Updated:February 27, 2019 9:11 pm  

ধীমান রায়, কাটোয়া: কাজের টোপ দিয়ে নাবালকদের ভিন রাজ্যের পাচারের চেষ্টা। বুধবার বর্ধমান শহরের চৌধুরীপাড়া বাজার এলাকা থেকে চার আদিবাসী কিশোরকে উদ্ধার করল পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে দু’জনকে।

[ বিহার থেকে বনগাঁয় মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক, ঘরে ফেরানোর ব্যবস্থা করলেন শিক্ষক]

Advertisement

আদিবাসী কিশোরদের বয়স বারো থেকে চোদ্দোর মধ্যে। সকলেরই বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের বেলেণ্ডা গ্রামে। বুধবার দুপুরে পরিবারের লোকেরা খেয়াল করেন, ওই চারজন কিশোরকে এলাকায় দেখা যাচ্ছে না। শুরু হয় খোঁজখবর। বাড়ির লোকেরা জানিয়েছেন, গ্রামেরই লোকজন তাঁদের জানান, দুইজন অপরিচিত ব্যক্তি বাইকে চাপিয়ে জয় কোঁড়া, মিঠুন কোঁড়া, সঞ্জয় কিস্কু ও বুধন কিস্কু নামে ওই চার কিশোরকে নিয়ে গিয়েছে। ঘটনাটি নজরে পড়লেও কেউ আমল দেননি। ভেবেছিলেন, কাজের জন্য হয়তো তাদের নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু পরিবারের লোকেদের সঙ্গে কথা শোনার পরই গ্রামবাসীদের ভুল ভাঙে। খবর দেওয়া হয় ভাতার থানায়। নিয়মমাফিক বর্ধমান ও আশেপাশের থানাগুলিকে সতর্ক করে দেয় পুলিশ। বানচাল হয়ে যায় নাবালকদের পাচারের ছক।

বর্ধমান শহরের চৌধুরীপাড়া এলাকায় থেকে জয় কোঁড়া, মিঠুন কোঁড়া, সঞ্জয় কিস্কু ও বুধন কিস্কুকে উদ্ধার করে পুলিশ। ধরা পড়ে যায় অভিযুক্ত ছোটুলাল ও তার স্ত্রী। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ওই নাবালকদের সঙ্গে মাখন শেখ নামে আরও একজন ছিল। সে পালিয়েছে। কাজের টোপ দিয়ে ওই নাবালকদের পাচার করার চেষ্টা করছিল অভিযুক্তরা। ছোটুলালের বাড়ি বর্ধমান থানারই খেতিয়া গ্রামে। এদিকে বেতেণ্ডা গ্রামের বাসিন্দাদের দাবি, বুধনের মা মানসিক ভারসাম্যহীন। আর বাবা দিনরাত মদের নেশায় ডুবে থাকে। নেশার টাকা জোগাড় করতে সে ছেলেকে পাচারকারীদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে বলে অভিযোগ। তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

[ বাঁকুড়ায় রাতের অন্ধকারে কবর থেকে পাচার হয়ে যাচ্ছে নরকঙ্কাল!]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement