Advertisement
Advertisement
খাবারের প্যাকেট

একসঙ্গে এক সপ্তাহের রেশন! লক্ষ মানুষকে খাবারের প্যাকেট পাঠালেন শুভেন্দু অধিকারী

খাবারের প্যাকেট বন্টনের সময় ভিড় না করার নিষেধাজ্ঞা দিলেন।

Transport Minister Shuvendu send Food grain packet to 1 lakh people
Published by: Sucheta Chakrabarty
  • Posted:April 1, 2020 10:05 pm
  • Updated:April 1, 2020 10:05 pm  

কৃষ্ণকুমার দাস: অন্নপূর্ণা পুজোর অষ্টমীতে প্রায় এক লক্ষ মানুষের বাড়িতে এক সপ্তাহের অন্নের জোগান দিলেন পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। চাল, ডাল, আলু-সহ খাবারের প্যাকেট পাঠানো হল প্রতিটি বাড়িতে। শুধুমাত্র পশ্চিম মেদিনীপুর নয় নিজের এলাকা ছাড়িয়ে ঝাড়গ্রাম, মালদহ, মুর্শিদাবাদের বহু মানুষের বাড়িতে এই খাবারের প্যাকেট পাঠানো হয়।

লকডাউনের জেরে জেরবার মানুষ। সংক্রমণ রুখতে প্রয়োজনে ছাড়া রাস্তায় বেরোতে মানা। তাই জনসাধারণের প্রয়োজনে তাদের পাশে দাঁড়াতে তাদের ঘরের ছেলের মত খাবারের প্যাকেট তুলে দিলেন এই মন্ত্রী। খাবারের প্যাকেটে ছিল পাঁচ কিলো চাল, এক কিলো ডাল, ২ কেজি আলু, এক কেজি মুড়ি, ৫ প্যাকেট বিস্কুট। ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়ায় লরি ভরে খাবারের জোগান দিয়েছেন তিনি। আজ ও কাল মালদহ, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর, পূর্ব মেদিনীপুরে সেই একই পরিমাণ খাবার পাঠিয়ে দিচ্ছেন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।

Advertisement

তাঁর কথায়,”করোনা মোকাবিলায় কর্মসূচি হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী রেশনের মাধ্যমে প্রায় সমস্ত মানুষকে বিনামূল্য চাল-গম দিচ্ছেন। কিন্তু এখন যে সকল প্রান্তিক গরীবদের কাছে তা পৌঁছয়নি, তাদরে কাঁছে সেই পর্যাপ্ত খাবার পৌঁছে দিতে নেত্রীর নির্দেশে প্রায় এক লক্ষ মানুষের কাছে প্যাকেট পৌঁছে দিলাম।” লকডাউনের মধ্যেই এর আগে ভিন জেলায় আটকে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকদের উদ্ধার করে তাদের বাড়ি পাঠিয়েছিলেন পরিবহন মন্ত্রী। পাশাপাশি কেরল ও দিল্লিতে আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের থাকা-খাওয়ার বন্দোবস্ত করিয়েছেন তিনি। অন্নপূর্ণা পুজোর দিন প্রতি বছর তিনি নিয়ম করে সকলকে অন্নভোগ খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেন। তবে এই বছর তা করতে না পারায় কাঁথিতে নিজের ঘরে বসে দলের পর্যবেক্ষক হিসেবে খাবারের প্যাকেট পাঠালেন পরিবহন মন্ত্রী।

[আরও পড়ুন: দাসপুরে করোনা আক্রান্ত যুবক, সংক্রমণ এড়াতে কোয়ারেন্টাইনে গোটা গ্রাম]

জনসাধারণের হাতে অন্ন তুলে দেওয়ার মত কাজে অনেকেই প্রমাণ হিসেবে ছবি তুলে রাখলেও সেই বিষয়ে আগ্রহ দেখাননি সেচ ও পরিবহন মন্ত্রী। অসহায়দের পাশে তিনি থাকবেন এটাকে নিজের নৈতিক কর্তব্য হিসেবে মনে করছেন তিনি। তবে সেই কাজেও নিজের কোনও প্রচার চাননা বলেই মত তাঁর। তবে গ্রামের প্রান্তিক মানুষদের খাবারের প্যাকেট বন্টনের সময় যাতে ভিড় না হয় সেই দিকেও নেত্রীর কথা মেনে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন তিনিও।

[আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলায় শামিল খুদে, ভাঁড় ভেঙে মুখ্যমন্ত্রীর তহবিলে ১৩০০ টাকা জমা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement