Advertisement
Advertisement

Breaking News

মাও দমন

বিস্ফোরক চিনতে বিশেষ প্রশিক্ষণ, জঙ্গলমহলে মাও দমনে তৈরি ডগ স্কোয়াড

পুরুলিয়ার দুটি ক্যাম্পে তৈরি হচ্ছে দুই জার্মান শেফার্ড-প্লুটো, হাসিনা৷

Trained Dog squad will lead Anti maoist operation in Junglemahal
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:June 2, 2019 7:19 pm
  • Updated:June 2, 2019 8:37 pm  

সুমিত বিশ্বাস,পুরুলিয়া: জঙ্গলমহলের পথে ‘ইমপ্রোভাইসড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস’ (IED) পাতা? ঘন অরণ্য চষে সেই বিস্ফোরকের খোঁজ দেবে প্লুটো ও হাসিনা৷ঝাড়খণ্ডের সরাইকেল্লা-খরসোঁওয়াতে সম্প্রতি মাওবাদী দমন অভিযানকে ধাক্কা দিতে ঘটানো হয় ধারাবাহিক আইইডি বিস্ফোরণ৷ তারপর থেকে বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমানায় বেড়েছে নিরাপত্তা, নজরদারি৷ মাও দমন অভিযানে নামানো হচ্ছে ডগ স্কোয়াড।

[আরও পড়ুন: পুকুর ভরাট করে বিনোদন পার্ক তৈরির সিদ্ধান্ত, স্থানীয়দের ক্ষোভের মুখে পুরপ্রধান]

সোমবার থেকে পুরুলিয়া লাগোয়া বাংলা–ঝাড়খণ্ড সীমানায় মাওবাদী মোকাবিলায় এই ডগ স্কোয়াডই যৌথ বাহিনীর নেতৃত্ব দেবে। এই ডগ স্কোয়াডের সদস্য দু’জন- প্লুটো ও হাসিনা। এই দুই জার্মান শেফার্ডই পুরুলিয়ায় মাও দমনে মোতায়েন থাকা সিআরপিএফের অতন্দ্র প্রহরী৷ যাদের এক এক জনের বেতন ৭ হাজার টাকা। মাস গেলেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে এই সারমেয়দের খাতে জমা পড়ে যায় এই অর্থ। তাদের ভরণপোষণের জন্য এই অর্থ ব্যয় হয়। তাদের ডায়েটও তেমন৷ প্রতিদিন দুশো গ্রাম আটার রুটি, পাঁচশো গ্রাম মুরগির মাংস, দু’টো করে ডিম সেদ্ধ, এক গ্লাস দুধ। আর এই গরমে প্যাকেট–প্যাকেট গ্লুকোজ। তাদের জন্য আনা হয়েছে স্ট্যান্ড দেওয়া টেবিল ফ্যান। রয়েছে কুলারও। এরাই এখন মাও উপদ্রুত এলাকার আধা সামরিক বাহিনীর বড় ভরসা। তাই এমন ‘ভিআইপি’ ব্যবস্থা।

Advertisement

হাসিনা রয়েছে বান্দোয়ানের কুঁচিয়া ক্যাম্পে। গুড়পানা শিবিরে রয়েছে প্লুটো ওরফে শ্যাম। সাম্প্রতিককালে সিপিআই (মাওবাদী) যৌথ বাহিনীর ওপর হামলা করতে যেভাবে নিজেদের কৌশল বদলে জঙ্গলের পথে বা কাঁচা রাস্তায় আইইডি বিছিয়ে দিচ্ছে, তাতে ঘুম উড়ে গিয়েছে সিআরপিএফের। ছত্তিসগড়ে মাওবাদীদের এই কৌশল যেভাবে ঝাড়খণ্ডেও প্রয়োগ করা হচ্ছে, তাতে খানিকটা ত্রস্ত যৌথবাহিনী। ফলে হাতে যতই মেটাল ডিটেক্টর থাক, এই ডগ স্কোয়াডই বিপদ থেকে বাঁচাবে। বলছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। সেই কারণেই সিআরপিএফে এখন প্রায় প্রত্যেকটা ব্যাটেলিয়নেই প্রশিক্ষিত ডগ স্কোয়াড রয়েছে। অপারেশনের সময় যাঁরা জঙ্গলপথে সবার সামনে থেকে বিপদ বার্তা দেয়৷

[আরও পড়ুন: ‘ধাপে ধাপে উঠবে গ্যাসের ভরতুকি’, দিলীপের বার্তায় অশনি সংকেত দেখছেন জনতা]

গুড়পানা ক্যাম্পে প্লুটোর দেখভালের দায়িত্বে থাকা কে কে ঘোষ বলেন, ‘এর বেতন সাত হাজার টাকা। ওই টাকাতেই খাওয়াদাওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়। অভিযানের সময় বিস্ফোরক খোঁজার কাজে এরা দক্ষ।’ জানলা,দরজা বন্ধ ঘরে অন্ধকারেই কাটে এদের দিনরাত। এমন পরিবেশে তাদের রাখার পিছনে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকে৷ দিনের পর দিন অন্ধকারে থেকে এদের ক্রোধ যেন শত্রুর ওপর আছড়ে পড়ে। ভীষণই হিংস্র হয়ে ওঠে। তবে মাঝেমধ্যে অন্ধকার ঘর থেকে বের করে প্লুটোকে ক্যাম্পের চারপাশে ঘোরানো হয়। সিআরপিএফের এক আধিকারিকের কথায়, ‘কয়েকটি ঘটনায় ছত্তিসগড়ে দেখা গিয়েছে, ছদ্মবেশে গাছের আড়াল থেকে সাজানো থাকে বন্দুকধারী মাওবাদীর মত কোনও কাঠামো। এমনকী জঙ্গলের পথে পড়ে থাকে তেমনই নিথর দেহ বা লাল ব্যানারে মোড়া কিছু জিনিস। যেখানে হাত দিলে বা পা পড়লেই বিপদ। বিস্ফোরণে মৃত্যু নিশ্চিত। তাই আগে থেকে বিপদ ঠাহর করে বাহিনীকে সতর্ক করবে এই ডগ স্কোয়াডই।’ তাই তো প্লুটো–হাসিনার যত্নে এমন এলাহি আয়োজন, ‘ভিআইপি’ ট্রিটমেন্ট৷

ছবি: অমিত সিং দেও৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement