Advertisement
Advertisement

Breaking News

ভারী বৃষ্টিতে তিস্তায় জলস্ফীতি, ডুয়ার্স-অসম রুটের ট্রেন বন্ধ

ঘরছাড়া প্রায় চার হাজার মানুষ৷

Train services over Teesta river railway bridge suspended temporarily,due to heavy rains in catchment area of bridge
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 22, 2016 3:36 pm
  • Updated:June 22, 2016 4:14 pm  

স্টাফ রিপোর্টার: সিকিম পাহাড়ে টানা ভারী বৃষ্টির জেরে তিস্তা নদীর জল মারাত্মক বেড়ে যাওয়ায় ডুয়ার্স ও অসম রুটের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেল৷ শিলিগুড়ি থেকে মালবাজার যাওয়ার পথে সেবক ও বাগরাকোটের মাঝে ৫২ নম্বর ব্রিজের কাছে তিস্তার জলস্তর বেড়ে রেললাইনে উঠে এসেছে৷ ফলে ঝুঁকি এড়াতে বুধবার সকাল থেকে ওই রুটে যাবতীয় ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল৷ বাতিল হয়েছে শিলিগুড়ি জংশন থেকে বামনহাট, চ্যাংরাবান্ধা, দিনহাটা, আলিপুরদুয়ার, ধুবড়িগামী বেশকিছু ইন্টারসিটি ও ডেমু প্যাসেঞ্জার৷ কাঞ্চনকন্যা, মহানন্দা, ঝা-ঝা, কবিগুরু এক্সপ্রেসের মতো ট্রেনগুলিকে ফালাকাটা, ধুপগুড়ি হয়ে ঘুরপথে চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে৷ এনজেপি-র স্টেশন ম্যানেজার অজিতেশ দাস বলেছেন, “তিস্তার জলস্তর বেড়ে যেভাবে সেতুর কাছে চলে এসেছে, তাতে বিপদের আশঙ্কায় শিলিগুড়ি জংশন থেকে মালবাজার হয়ে ডুয়ার্স ও অসম রুটে ট্রেন চলাচল এদিন সকাল থেকে বন্ধ রাখা হয়েছে৷ পরিস্থিতির বদল ঘটলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে৷”

এদিকে, জলপাইগুড়ির করলা নদীতে ভেসে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে এক যুবকের৷ মঙ্গলবার রাত এগারোটা নাগাদ আচমকায় করলা নদীর জল বেড়ে যায়৷ অল্প সময়ের মধ্যে প্লাবিত হয় জলপাইগুড়ি শহরের বিভিন্ন এলাকা৷ মাইকিং করে নিচু এলাকা থেকে মানুষজনকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানাতে থাকে প্রশাসন৷ ওইসময় জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন মুন্ডাবস্তির বাসিন্দা হরিদাস মুন্ডা (৩২) মাছ ধরতে গিয়ে ভেসে যান করলায়৷ বেশ কিছুক্ষণ পর নদী থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়৷ সমতলে বৃষ্টির পরিমাণ কমলেও সিকিম পাহাড়ে প্রবল বৃষ্টির কারণে রম্ভি ও কালিঝোরা ড্যাম থেকে এনএইচপিসি জল ছাড়ায় বুধবার সকালেও গজলডোবার তিস্তা ব্যারেজ থেকে দেড় হাজার কিউসেক জল ছাড়তে বাধ্য হয়েছে সেচ দফতর৷ বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী তিস্তার অসংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সংকেত জারি রয়েছে৷ তিস্তার জলে প্লাবিত হয়ে ময়নাগুড়ির বাসুসুবা, দোমোহনি, বর্মনপাড়া, চাতরার পাড়, মালবাজারের চাপাডাঙা এলাকায় রীতিমতো বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে৷ ঘরছাড়া প্রায় চার হাজার মানুষ৷ মালবাজারের মহকুমাশাসক জ্যোতির্ময় তাঁতি বলেছেন, “নদীর চরে এখনও কিছু মানুষ রয়ে গিয়েছেন৷ তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে৷

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement