প্রতীকী
সুব্রত বিশ্বাস: কেরলের অলাপ্পুঝা থেকে বারোশো পরিযায়ী শ্রমিককে নিয়ে বিহারের বেতিয়াতে আসছে একটি ট্রেন। নির্ধারিত রুটে ট্রেনটির রাজ্যের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। সেই রুটেই সাঁতরাগাছি-ডানকুনি-বর্ধমান হয়ে বিহার যাওয়ার কথা ছিল ট্রেনটির। এজন্য সবরকমের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল রেলের পক্ষ থেকে। তবে বিশাখাপত্তনমে গ্যাস লিকের ফলে ট্রেনটির রুট পরিবর্তন হয়। নির্ধারিত রুট বরকাখানা, ধানবাদ, হাজীপুর, মুজফফরপুর হয়ে বেতিয়াতে পৌঁছবে।
ট্রেনটির রুট পরিবর্তনের খবর শুক্রবার বেলার দিকে পূর্ব রেলের কাছে আসে। হাওড়ার ডিআরএম ইশাক খান বলেন, ট্রেনটির রুট আপৎকালীনভাবে পরিবর্তিত হয়। বিশাখাপত্তানমে গ্যাস লিকের জন্য এই রুট পরিবর্তন করা হয়েছে। ঠিক ছিল ডানকুনি হয়ে ট্রেনটি যাবে। প্রস্তুতি হিসাবে নেওয়া হয়েছিল একাধিক পদক্ষেপ। হাওড়ার ৬৫ জন টিকিট পরীক্ষককে কাজে ডাকা হয়েছিল। শুক্রবার রাতে হাজিরা দিয়ে মাঝরাতে ডানকুনি পৌঁছানোর কথা ছিল ট্রেনটির। আইআরসিটিসির রান্না করা খাবার পরিবেশনের দায়িত্ব ছিল টিটিদের উপর। বৃহস্পতিবার রাতে খবর দেওয়া হয় টিটিদের। টিটিরা দীর্ঘদিন বাদে কাজে যোগ দেওয়ায় হান্ড গ্লাভস, মাস্ক ইত্যাদি জোগানে কিছুটা সমস্যা হয়। শুক্রবার রুট বদলের ফলে অসুবিধার মধ্যে পড়েন টিটিরা। নিশ্চিত হয়ে তবেই জানানো উচিত ছিল বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেণ টিকিট পরীক্ষকরা। সূত্রের খবর, ট্রেনটিতে বেশ পশ্চিমবঙ্গের পরিযায়ী শ্রমিক ফিরছিলেন। রুট পরিবর্তন হওয়ায় এবার তাঁদের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
এদিকে আসানসোল ডিভিশনের মধ্যে দুটি পরিযায়ী শ্রমিক ট্রেন যাওয়ায় বোর্ডের আইন অমান্য করে একশো শতাংশ ট্রাকম্যান কর্মীকে কাজে লাগানোর নির্দেশ দেয় ডিভিশন। শুক্রবার এই নির্দেশের পরই পূর্ব রেলের মেনস ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অমিত ঘোষ বলেন, “বোর্ড যখন ৩৩ শতাংশ কর্মীকে কাজে লাগাতে বলেছে, তখন আসানসোল ডিভিশন একশো শতাংশ কর্মীকে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছে। এভাবে কর্মীদের মরনের পথে পাঠানো যাবে না।” তিন দিন আগে মাত্র দুটি শ্রমিক ট্রেন আসানসোল হয়ে গিয়েছে। যেটাকে রেল যাত্রী ট্রেন চালু হয়েছে বলে দাবি করে বলেছেন অমিত ঘোষ। সামাজিক দূরত্ব না মেনেই চলছে লাইনের কাজ। এর মধ্যে সবাইকে কাজে ডাকা মনে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া বলে জানান তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.