ঘটনায় জখম এক ব্যক্তি। নিজস্ব চিত্র
সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: দুটি বাসের রেষারেষির জের। দুই যাত্রীর কাটা পড়ল হাত। একজনের হাত শরীর থেকে সম্পূর্ণ আলাদা হয়ে রাস্তায় পড়ল। অন্যজনের হাত প্রায় আলাদা হয়ে ঝুলে থাকল শরীরের সঙ্গেই। সেই রক্তারক্তি কাণ্ড দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়লেন দুই বাসের অন্যান্য যাত্রীরা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার চাপড়া থানার সীমানগর বিএসএফ ক্যাম্পের কাছে।
আজ বুধবার কৃষ্ণনগর থেকে করিমপুরের দিকে যাচ্ছিল দুটি বাস। কে আগে যাবে, তাই নিয়ে দুই বাসচালক রেষারেষি করছিলেন বলে অভিযোগ। একটি বাসের জানলার বাইরে কিছুটা হাত বার করে রেখেছিলেন দুই ব্যক্তি। সীমানগর বিএসএফ ক্যাম্পের কাছে ওই বাসটি যাত্রী নেওয়ার জন্য রাস্তায় দাড়িয়েছিল। সেসময় অন্য একটি বাস দ্রুতগতিতে ওই বাসটিকে ওভারটেক করে। আর তাতেই ঘটে ভয়াবহ দুর্ঘটনা।
ওই বাসের যাত্রী ছিলেন বছর ৫০-এর অসিত দাস ও ৬৫-এর সনাতন হালদার। তাঁরা দুজনেই বাসের জানলার বাইরে হাতের কিছু অংশ বার করে রেখেছিলেন। ওভারটেক করার সময় তাঁদের হাতগুলি ঘষে যায় ওই বাসটি। নিমেষে এক যাত্রীর ডান হাত শরীর থেকে আলাদা হয়ে রাস্তায় খসে পড়ে। অন্যজনের ডান হাতের অংশ শরীর থেকে প্রায় খুলে যাওয়া অবস্থায় ঝুলতে থাকে। দুর্ঘটনার পর ওই ঘাতক গাড়িটি না থেমে দ্রুতগতিতে চলে যায়।
এদিকে দুই যাত্রীর এই অবস্থা দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন অন্যান্যরা। যাত্রীদের কথায়, শেষপর্যন্ত জখমদের নিয়ে চালক বাস চালিয়ে কৃষ্ণনগর শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে পৌঁছন। যাত্রীদের জোরালো দাবিতে ওই দুই ব্যক্তির দ্রুত চিকিৎসা শুরু হয়। কিন্তু কাটা হাত জোড়া লাগানো সম্ভব হয়নি। দুই ব্যক্তিরও হাত শরীর থেকে বাদ হয়েছে বলে খবর। অসিত দাসের বাড়ি ডোমপুকুর এলাকায়। অন্যজন থাকেন শোনপুকুরে। তাঁদের বাড়িতেও খবর পাঠানো হয়। জখম একজনের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
ওই রুটে অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বাস চলাচল করে। নিজেদের মধ্যে নিত্যদিন রেষারেষি চলে বলেও অভিযোগ। চাপড়া থানার পুলিশ এদিনের ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। দুর্ঘটনা ঘটানো বাস ও চালকের খোঁজ শুরু হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.