ফাইল ছবি
সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: করোনা যুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর তৈরি ত্রাণ তহবিল PM-CARESএ কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের একদিনের বেতন দান করতে হবে। সেই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। এই বিজ্ঞপ্তি ঘিরেই চরম ক্ষোভ তৈরি হল দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার শ্রমিক সংগঠনে। তাঁদের বেতন কেটে এই তহবিলে জমা দেওয়া নিয়ে তীব্র আপত্তি তুলেছে বাম-ডান শ্রমিক সংগঠনগুলি। অনেকেরই মত, PM-CARESএ অনুদান দিতে বাধ্য করা হচ্ছে শ্রমিকদের, যা কার্যত অনুচিত। কেউ আবার দাবি তুলছেন, সেই অনুদানের কিছুটা অংশ রাজ্যগুলিকেও দেওয়া হোক।
কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের একদিনের বেতন দিতে হবে PM-CARESএ। আগামী মার্চ পর্যন্ত প্রতি মাসে ওই অর্থ কেটে নেওয়া হবে বেতন থেকে। শনিবার এই বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার পর থেকেই অসন্তোষ দেখা দিয়েছে শ্রমিক মহলের একাংশে। দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা (DSP) কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে। ডিএসপির শ্রমিকদের করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্রকে আর্থিক সাহায্য করতে এপ্রিল মাসের একদিনের বেসিক পে দান করতে বলা হয়েছে PM-CARESএ। যা নিয়ে শ্রমিক বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে উঠল দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্ট।
PM-CARES কে ‘প্রাইভেট ফান্ড’ বলে কটাক্ষ করেছেন বাম সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। আইএনটিটিইউসি আপত্তি না করলেও পাল্টা ‘সিএম রিলিফ ফান্ডে’ও ইচ্ছুক শ্রমিক কর্মীদের দান করার আবেদন রেখে নোটিস জারির দাবি করেছে কর্তৃপক্ষের কাছে। ডিএসপি আইএনটিটিইউসির সহকারী সাধারণ সম্পাদক স্নেহাশিষ ঘোষ জানান, “কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমস্ত শ্রমিকর সংগঠনের আলোচনায় এই প্রস্তাব রাখা হয়েছিল। কেউ আপত্তি করেনি। রাজ্য সরকারগুলিই মুল লড়াই করছে। আমরা কর্তৃপক্ষকে এই মর্মে নোটিস জারির দাবি করব।” সিটুর যুগ্ম সম্পাদক সৌরভ দত্ত জানান, “এই দান বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। যা আমাদের পছন্দ নয়, এটা অন্যায়। PM-CARESএ দেওয়া নিয়ে আমাদের তীব্র আপত্তি আছে। পিএম ন্যাশনাল রিলিফ ফান্ডে অনুদান দেওয়া যেতে পারে স্বেচ্ছায়। আর এই টাকার ভাগ রাজ্যকেও দিতে হবে। কারণ, তারাই সামনে থেকে লড়াই করছে।”
ইতিমধ্যেই সেইল (SAIL) PM-CARESএ ৩০ কোটি টাকা দিয়েছে। সেইলের ইউনিটগুলি বিভিন্ন রাজ্যে অবস্থিত। সেসব রাজ্যগুলিকেও এই অনুদানের ভাগ দেওয়ার দাবি করেছে সিটু ও আইএনটিটিইউসি। বিএমএসও রাজ্যগুলিকে দান করার পক্ষেই মত দিয়েছে। বিএমএসের ‘অল ইন্ডিয়া স্টিল ফেডারেশন’-এর সহ-সভাপতি অরূপ রায় জানান, “রাজ্য সরকারগুলিকেও সাহায্য করতে হবে। দেখতে হবে সেই অর্থের যেন অপব্যবহার না হয়।”
ছবি: উদয়ন গুহরায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.