প্রতীকী ছবি।
নন্দন দত্ত, সিউড়ি: পেশায় প্যারাটিচার৷ রবিবার ছুটির দিনে গিয়েছিলেন বিদ্যুৎ দপ্তরের ঠিকা শ্রমিকের কাজে৷ কিন্তু, সামান্য ভুলে বিদ্যুতের খুঁটিতে তার জড়িয়ে মৃত্যু হল দুই ঠিকাকর্মীর। জখম ৩। তাঁদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিউড়ি হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ জানতে তদন্তের আশ্বাস বিদ্যুৎ বণ্টন দপ্তরের৷
রবিবার সকালে ময়ূরেশ্বরের ষাটপলশা গ্রামে দুটি বিদ্যুতের খুঁটি পুঁতে এক ব্যবসায়ীর দোকানে নতুন বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়ার কাজ করছিলেন দুই ঠিকা কর্মী৷ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিদ্যুৎ সংযোগ চালু রেখেই এদিন কাজ করছিলেন পাঁচ ঠিকা কর্মী৷ আচমকা তারে হাত দিতেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পাঁচ কর্মীই ছিটকে পরেন৷ তাঁদের মধ্যে বাসুদেবপুরের বাসিন্দা বুদ্ধদেব বাগদি (৩৭) ও চন্দ্রপলশা গ্রামের বাসিন্দা পিন্টু বাগদি বিদ্যুতের খোলা তারের সঙ্গে জড়িয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই ওই শ্রমিকদের৷ বাকি তিনজনকে সিউড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জানা গিয়েছে, তাঁদের মধ্যে সমাধিশ বাগদির অবস্থা আশঙ্কাজনক৷
[মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই পুলিশের জালে কুখ্যাত জমি মাফিয়া, থানায় তাণ্ডব অনুগামীদের]
এদিকে মৃত বাসুদেব বাগদি তাঁর নিজের গ্রামেই প্রাথমিক স্কুলের প্যারাটিচারের কাজ করতেন। ছুটির দিনে বাড়তি উপার্জনের জন্য তিনি ঠিকাদারের সঙ্গে কাজ করতেন। তাঁদের গ্রামের আরও এক ঠিকা কর্মী বুদ্ধদেব বাগদি জানান, তাঁর ওই দলে কাজ করতে যাওয়া কথা ঠিল৷ কিন্তু এদিন তিনি যাননি। তবে, ঠিকাদার সংস্থা কাজ করালেও তাঁদের নিরাপত্তার জন্য হাতের গ্লাভস, মাথায় হেলমেট কিছুই দেয়নি কর্তৃপক্ষ৷ গ্রামের যুবক সজল গঙ্গোপাধ্যায় জানান, বাড়তি উপার্জন করতে গিয়ে প্রাণটা গেল তাঁর পাশের বাড়ি বুদ্ধদেবের। তবে এর পিছনে ঠিকাদারের গাফিলতি আছে বলে তিনি দায়ী করেন। জেলা বিদ্যুৎ বণ্টন দপ্তরের নিরাপত্তা বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে কি ঘটেছিল তার তদন্ত করা হবে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.