Advertisement
Advertisement
জঙ্গলে বনভোজন

হানা দিতে পারে হাতি, বিপদ বুঝে জঙ্গল থেকে কলকাতার পর্যটকদের উদ্ধার করল পুলিশ

পুলিশ জানায়, ১৫-২০টি দলমা দলের হাতি রয়েছে সেই জঙ্গলে।

Tourists were involved in a picnic inside the forest of Jhargram
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:November 24, 2019 6:35 pm
  • Updated:November 24, 2019 6:35 pm  

সুনীপা চক্রবর্তী, ঝাড়গ্রাম: জঙ্গল পাহাড় ঘেরা জঙ্গলমহল। অপরূপ প্রকৃতির টান উপেক্ষা করা প্রায় অসম্ভব। আর সেই ঝাড়গ্রামের ঘন অরণ্যের মধ্যে নৈশকালীন বনভোজন সত্যিই এক অ্যাডভেঞ্চার। কিন্তু দলমা দলের হাতির উপস্থিতি সেই অ্যাডভেঞ্চারের পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়ায়। তবে বিপদের আগেই অ্যাডভেঞ্চারে আসা পিকনিক পার্টিকে উদ্ধার করল পুলিশ।

রাতে জঙ্গলের ভিতরে বনভোজন করতে গিয়েছিলেন একদল পর্যটক। জেনারেটরের সাহায্যে আলোও জ্বালিয়ে নিয়েছিলেন। সঙ্গে বক্স বাজিয়ে রাতের জঙ্গলে ভালই বনভোজন উপভোগ করছিলেন তাঁরা। জানতেন না, সেই জঙ্গলের আশেপাশেই রয়েছে একটি বড় দলমার দল। শুধু তাই নয়, আছে একটি দলছুট হাতিও। নিজেদের আনন্দেই মত্ত ছিলেন তাঁরা। কিন্তু ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশের কাছে খবর ছিল যে, যে কোনও মুহূর্তে হাতির দল ঢুকে পড়তে পারে সেখানে। বিপদের সম্ভবানাও রয়েছে। হাতির হানায় মৃত্যুর ঘটনাও এখানে ঘটেছে। কিছুদিন আগেই এক চিত্রগ্রাহক হাতির ছবি তুলতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন। তাই জঙ্গলের মধ্যে রাতে পিকনিকের খবর পেয়েই সেখানে ছুটে যান ঝাড়গ্রাম থানার আইসি জয়প্রকাশ পাণ্ডের নেতৃত্বে পুলিশ ও বনদপ্তরের কর্মীরা। পিকনিক পার্টির সদস্যদের পুরো বিষয়টি বুঝিয়ে বলেন তাঁরা। রাতে তাঁদের ঝাড়গ্রামের দুটি বেসরকারি লজে থাকার ব্যবস্থাও করে দেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: মানবাধিকার আন্দোলনের জের, ঢাকায় ফেরানো গেল না ধৃত ৬১ জন বাংলাদেশিকে]

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার কলকাতা এবং লাগোয় জেলাগুলিতে ৫৫ থেকে ৬০ জনের মহিলা ও পুরুষের পর্যটক দল একটি বেসরকারি পর্যটন সংস্থার মাধ্যমে ঝাড়গ্রামে এসেছিলেন। ঝাড়গ্রাম থানা এলাকার রাজ্য সড়ক লাগোয়া ঘৃতখাম গ্রামে তাঁরা গিয়েছিলেন। সেখানে স্থানীয়দের থেকে খবর নিয়ে গ্রাম থেকে প্রায় তিন-চার কিমি দূরে জঙ্গলে পিকনিকের আয়োজন করেছিলেন তাঁরা। ঝাড়গ্রাম বনবিভাগের অধীন বিভিন্ন জঙ্গলে এখন রয়েছে দলমা দলের হাতি। প্রায় ১৫-২০টি দলমা দলের হাতি রয়েছে। এছাড়া দলছুট একাকি হাতিও আছে। শুধু হাতিই নয়, জঙ্গলে হায়না এবং নেকড়ে বাঘও রয়েছে। কিন্তু পর্যটকরা কিছুই জানতেন না।

পুলিশ জানিয়েছে পর্যটকদের ওই দলটি গ্রামে থাকলে ভয়ের কিছু ছিল না। কিন্তু তাঁরা জঙ্গলের বেশ অনেকটা ভিতরেই ছিলেন। তার উপর যথেষ্ট জোরে বাজছিল গান। সঙ্গে জেনারেটরের শব্দ। এমনিতেই জোরে আওয়াজে পশুরা বিরক্ত হয়। সবমিলিয়ে যে কোনও সময় হাতির আক্রমণের ঘটনা ঘটতেই পারত। তবে ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ ও বনকর্মীদের তৎপরতায় বড় বিপদ কাটানো গেল। রবিবার সকালেই ওই পর্যটকরা নিজেদের গন্তব্যে ফিরে যান বলে জানিয়েছে পুলিশ।

[আরও পড়ুন: সাপের বিষ বিক্রির অভিযোগ, দেখলেই সর্পপ্রেমী মোবারককে গ্রেপ্তারির নির্দেশ বনদপ্তরের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement