দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: শীতের শুরুতে অপরূপ সুন্দরবনের সৌন্দর্য উপভোগ করতে এসেছিলেন নদিয়ার এক পর্যটক। কিন্তু বাড়ি ফেরা হল না। নদীতে তলিয়ে গেলেন তিনি। যদিও তাঁকে এখনও পর্যন্ত উদ্ধার করা যায়নি। পর্যটকের খোঁজে চলছে তল্লাশি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পর্যটকের নাম সৈকত রায়। নদিয়ার চাকদহের বাসিন্দা তিনি। সোমবার বিকেলে বোটে চেপে সুন্দরবন দর্শনে বেড়িয়েছিলেন। কুলতলির কৈখালি থেকে সজনেখালির দিকে যাচ্ছিল বোটটি। বোটটিতে পর্যটক-সহ মোট ২৩ জন যাত্রী ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। সাতজেলিয়া এলাকায় আসতেই ঘটে দুর্ঘটনা। বোট থেকে আচমকাই পা পিছলে নদীতে পড়ে যান সৈকত। তলিয়ে যায় তাঁর দেহ। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চলছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই বোট ও তার মালিক মহাদেব নস্করকে আটক করেছে।
উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই এই মরশুমে প্রথমবার সুন্দরবনে দেখা গিয়েছে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। ঘুরতে গিয়ে দক্ষিণ রায়কে ক্যামেরাবন্দি করেছেন পর্যটকরা। স্বাভাবিকভাবেই তাই সুন্দরবনে বাঘ দেখার আশায় বুক বেঁধেছেন বাকি পর্যটকরাও। তাছাড়া শীত পড়লে নভেম্বর-ডিসেম্বরেই সবচেয়ে বেশি পর্যটকদের ভিড় জমে এই অঞ্চলে। এমন পরিস্থিতিতে তাঁদের নিরাপত্তার দিকেও কড়া নজর দিচ্ছে পুলিশ-প্রশাসন। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের দাপটে জঙ্গলের অনেক জায়গাতেই ভেঙে গিয়েছে জঙ্গলের ক্যাম্প ঘিরে থাকা বেড়া। ফলে বারবার বাইরে বেরনোর চেষ্টা করছে বন্যপ্রাণীরা। তারা যাতে বাইরে বেরতে না পারে, সে জন্য তৎপর বনদপ্তর। বিশেষ করে বাঘের লোকালয়ে আসা রুখতে বেশ কিছু পদক্ষেপ করা হয়েছে।
বনদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প এলাকায় ১০৫ কিলোমিটার এলাকায় আছে নেট ফেন্সিং। যার মধ্যে ঝড়ে নষ্ট হয়েছে ৩০ কিমি। যে কারণে কয়েকদিন পর্যটন বন্ধও রাখা হয়েছিল। তাই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ফেন্সিং ঠিক করার কাজ চলছে। যে সমস্ত ক্যাম্প অফিসগুলি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল, তারও মেরামতির কাজ চলছে দ্রুতগতিতে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.