বিক্রম রায়, কোচবিহার: অজানা রোগে একের পর এক কচ্ছপের মৃত্যু হচ্ছে। তাতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কোচবিহার জেলায়। ঘটনাটি ঘটছে বাণেশ্বর এলাকার শিবদিঘিতে। এভাবে কচ্ছপের মৃত্যুতে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নিয়ে এর কারণ জানার চেষ্টা চলছে, এমনটাই জানা গিয়েছে প্রশাসন সূত্রে।
যে প্রজাতির কচ্ছপ কোচবিহার জেলায় দেখা যায় তা আর সারা ভারতে শুধুমাত্র ত্রিপুরায় দেখতে পাওয়া যায়। কোচবিহারের বাসিন্দাদের এদের মোহন বলে ডাকে। এই মোহনই জেলার ম্যাসকট। মোহন রক্ষার বার্তা দিয়ে ম্যারাথনেরও আয়োজন হয়েছে। কিন্তু গত অক্টোবর মাস থেকে বাণেশ্বর এলাকার শিবমন্দিরের পাশের শিবদিঘির মোহন অর্থাৎ কচ্ছপগুলি অজানা রোগে ভুগছে। ইতিমধ্যেই আটটি কচ্ছপের মৃত্যু হয়েছে।
জানা গিয়েছে, অক্টোবরের শুরু থেকেই কচ্ছপগুলি অসুস্থ হতে শুরু করে। আটটি কচ্ছপ মারা যাওয়ার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এখনও ন’টি কচ্ছপকে আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা চলছে। ঘটনার জেরে বেশ কয়েকদিন শিবদিঘি বন্ধ রাখা হয়েছিল। মাঝে কচ্ছপের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু গত পয়লা জানুয়ারি একটি কচ্ছপের মৃত্যু হয়। তাতে নতুন করে উদ্বেগ বাড়ে।
এমন পরিস্থিতিতেই মঙ্গলবার আবার একটি পঞ্চাশ কেজির কচ্ছপ অসুস্থ হয়ে পড়ে। বুধবার একটি কচ্ছপ ভেসে ওঠে দিঘির জলে। এতেই ক্ষুব্ধ স্থানীয় মানুষ। তাঁদের দাবি, কেন এভাবে কচ্ছপগুলির মৃত্যু হচ্ছে। তা জেনে প্রতিকার করতে হবে। উল্লেখ্য, শিবদিঘির এই কচ্ছপদের জন্য মন্দিরে ভোগও নিবেদন করা হয়। তাই এঁদের নিয়ে উদ্বিগ্ন স্থানীয়রা। কোচবিহারের দেবোত্তর ট্রাস্ট এই মোহন রক্ষার দায়িত্বে। তাঁর চেয়ারম্যান আবার জেলাশাসক। প্রশাসন সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই বিশেষজ্ঞরা কাজ শুরু করে দিয়েছেন। ট্রাস্টের সেক্রেটারি বিশ্বদীপ মুখোপাধ্যায় জানান, কারণ জানার চেষ্টা চলছে। তবে এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি এই অজানা রোগের উৎস কী? বিশেষজ্ঞরা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.