রাজ কুমার, আলিপুরদুয়ার: ভুটান পাহাড়ে অবিরাম বৃষ্টি(Rain)। বানভাসি ভারত-ভুটান সীমান্তের আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) বিস্তীর্ণ অংশ। টানা বৃষ্টির জেরে মঙ্গলবার রাত থেকে পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। রাতভর পাহাড়ের বৃষ্টির জল সমতলে নেমে আসায় জয়গাঁ সীমান্তের ঝর্ণা বসতিতে রাস্তার একটা বড় অংশ ধসে গিয়েছে। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, প্রায় ৫০ মিটার রাস্তা পুরোপুরি ভেঙে গিয়েছে। ভাঙছে নদীর চর। তার জেরে বাড়িগুলিও ধসে যাওয়ার আশঙ্কায় কাঁটা বাসিন্দারা। বুধবার সকালে পরিস্থিতি পরিদর্শনে যান স্থানীয় তৃণমূল(TMC) নেতা সুভাষ লামা। তিনি ব্লক প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।
পুজোর সময় থেকে বেশ কয়েকদিন ধরেই লাগাতার বৃষ্টি চলছে উত্তরবঙ্গে। আলিপুরদুয়ার জেলাতেও দু’তিনদিন ধরে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। তবে ভুটান পাহাড়ে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে মঙ্গলবার থেকে কালচিনি (Kalchini) ব্লকের জয়গাঁ গ্রাম পঞ্চায়েতের তোর্ষা ঝোড়া, হাসিমারা ঝোড়ায় জলস্তর বাড়তে শুরু করে। ফুলেফেঁপে ওঠে নদীগুলি। নদীর দু’পাশের চর অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হাসিমারা ঝোড়া সংলগ্ন কিছু বাড়ি, যা গত বর্ষায় ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছিল ১৪টি বাড়ি। পরে প্রশাসনের তরফে কিছুটা ঠিক করলেও বর্ষার কারণে সম্পূর্ণ মেরামত করা সম্ভব হয়নি। সেসব বাড়ি ফের ভেঙে পড়ার আশঙ্কা।
এরপর এখনকার বৃষ্টিতে খোকলা বসতিতে কৃষিজমিও নদীর জলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নদীর জলে চর ভেঙে যাচ্ছে৷ ফের পাহাড়ে বৃষ্টি হওয়ায় হাত কপালে স্থানীয় বাসিন্দাদের৷ বুধবার সকাল পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, শেষ ২৪ ঘন্টায় আলিপুরদুয়ারে ৫২ মিলিমিটার ও হাসিমারাতে ৬০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। তবে রাতভর ভুটান থেকে জলধারা নেমে আসায় বিধ্বস্ত ভারত-ভুটান সীমান্তের জয়গাঁর ঝর্ণা বসতি। সেখানে রাস্তা ধসে গিয়েছে প্রায় ৫০ মিটার। যার জেরে আতঙ্কে স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রশাসন কত দ্রুত তা মেরামত করেন, সেই অপেক্ষায় রয়েছেন তাঁরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.