Advertisement
Advertisement
শহিদ

শেষবার ছেলেকে দেখার অপেক্ষায় রাত জাগছে সবংয়ের শহিদের পরিবার

রবিবার পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হবে।

Tomorrow last rite of the martyre drom Sabang will take place
Published by: Paramita Paul
  • Posted:June 27, 2020 9:43 pm
  • Updated:June 27, 2020 9:53 pm  

অংশুপ্রতিম পাল, খড়গপুর: ছয়মাস পর ঘরের ছেলে ঘরে ফিরবে। তবে কফিনবন্দী হয়ে। আর সেই দৃশ্যের কথা ভেবে হাহাকার করে উঠছেন একমাত্র সন্তানকে হারানো বাবা বাদল দে। বাড়ির বাইরে বসে শূন্য দৃষ্টি নিয়ে শনিবার গোটা দিনটা কাটিয়ে দিয়েছেন। আর সন্তান হারানোর শোকে বাড়ির ভিতরে কেঁদে ভাসালেন মা শিবানী দে। প্রতিবেশীরা এই পরিবারটিকে আগলে রেখেছেন ঠিকই। কিন্তু কে কাকে স্বান্তনা দেবেন! সবং থানার ডাঁডরা গ্ৰাম পঞ্চায়েতের গোটা সিংপুর গ্ৰামটাই তো শোকে মুহ্যমান হয়ে রয়েছে। সকলেই প্রতীক্ষায় রয়েছেন গ্ৰামের গর্ব শ্যামলকে একবার শেষবারের মতো চোখের দেখা দেখতে।

শুক্রবার দুপুরে কাশ্মীরের অনন্তনাগে টহলদারির সময় জঙ্গিদের অতর্কিত আক্রমণে শহিদ হয়েছেন সবং থানার এই গ্ৰামের ছেলে সিআরপিএফ জওয়ান শ্যামল দে। শনিবার রাতে এই জওয়ানের মৃতদেহ পৌঁছে যাওয়ার কথা মেদিনীপুর শহরে। আর রবিবার সকালে নিয়ে যাওয়া হবে গ্ৰামে। সেখানে সিংপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে মৃতদেহ শায়িত থাকবে। এখানে ‘গার্ড অব অনার’ দেওয়া হবে তাঁকে। তারপর বাড়ির সামনে একটি ফাঁকা জায়গায় পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হবে। শনিবার দিনভর তারই প্রস্তুতি চলেছে। জেলা পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার থেকে শুরু করে জেলার অন্যান্য পুলিশ কর্তারা, সিআরপিএফের আধিকারিকরা-সহ রাজ্যসভার সাংসদ মানস ভুঁইয়া, বিধায়ক গীতা ভুঁইয়া-সহ প্রশাসনের কর্তারা প্রস্তুতির তদারকি করেছেন। এইদিন দুপুরে বিধায়ক গীতা ভুঁইয়া মৃত জওয়ানের মা শিবানী দে-কে একপ্রকার জোর করেই গ্লুকোন ডি মিশ্রিত পানীয় পান করান। কিন্তু সদ্য সন্তানহারা মায়ের গলা দিয়ে কি সেই জল নামতে চায়! বারবার কাঁদতে কাঁদতে জ্ঞান হারাচ্ছিলেন তিনি।

Advertisement

[আরও পড়ুন : গ্রামে পানীয় জলের সমস্যা, একাই আস্ত কুয়ো খুঁড়ে ফেললেন রানিগঞ্জের মেধাবী ছাত্রী]

সবং বিডিও অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, মৃত জওয়ানের বাবা ও মায়ের শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী ছেলের শেষকৃত্য বাড়ির সামনে একটি ফাঁকা জায়গায় পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় করা হবে। তবে প্রশাসনের এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় চিন্তা রবিবার সামাজিক দূরত্ব কীভাবে বজায় রাখা সম্ভব হবে সেই বিষয়ে। এই ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খড়গপুর) কাজি সামসুদ্দিন আহমেদ বলছেন, “সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে”।

[আরও পড়ুন : মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি ও ভরতপুরে বজ্রাঘাতে মৃত ৬]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement