সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা (Coronavirus) সংক্রমণের গ্রাফ ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। হু হু করে বাড়ছে আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা। তার ফলে সকলেরই কপালে চিন্তার ভাঁজ চওড়া হচ্ছে। সংক্রমণ রুখতেই সাপ্তাহিক লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। আর তার জেরে বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার রাজ্যজুড়ে সম্পূর্ণ লকডাউন। এবারই প্রথম পরপর দু’দিন লকডাউন রাজ্যে। শুনশান শহর এবং শহরতলির রাস্তাঘাট। কলকাতার গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলিতে মোতায়েন বিশাল পুলিশবাহিনী। চলছে নাকা তল্লাশি।
শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণ সর্বত্রই প্রায় শুনশান। ধর্মতলা, পার্ক স্ট্রিট চত্বরে দেখা মেলেনি কারও। সিঁথির মোড়, উল্টোডাঙায় রয়েছে পুলিশি নজরদারির বন্দোবস্ত। রাসবিহারী, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতেও মোড়ে মোড়ে চলছে পুলিশি তল্লাশি। রাস্তায় কেউ বেরলেই জানতে চাওয়া হচ্ছে কারণ। উপযুক্ত কারণ দেখাতে না পারলে বাড়িও পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। রাস্তা দিয়ে চলা যেকোনও গাড়ির ক্ষেত্রে একই কড়াকড়ি জারি রয়েছে। সর্বত্র গাড়ি থামিয়ে চলছে তল্লাশি। খতিয়ে দেখা হচ্ছে লকডাউনের দিনেও বাইরে বেরনোর কারণ। এছাড়া কেউ মাস্ক ছাড়া রাস্তায় বেরিয়েছেন কিনা, সেদিকেও খেয়াল রাখছেন রাস্তায় থাকা কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা। কলকাতার পাশাপাশি রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তেও লকডাউনের (Lockdown) ছবিটা একইরকম। গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজন ছাড়া বিশেষ বাইরে বেরতে কাউকেই দেখা যাচ্ছে না।
রাজ্যজুড়ে চলতি মাসে শেষ লকডাউন হয়েছে ৮ আগস্ট। তারপর বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার সম্পূর্ণ লকডাউন। গত কয়েকদিনের লকডাউনে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার এবং গাড়ি আটক করেছিল পুলিশ। এবার ধরপাকড়ের সংখ্যাটা ঠিক কত দাঁড়ায় তা জানা যাবে পরে। তবে পুলিশকর্মীদের মতে, মার্চ মাসের শেষের দিক এবং এপ্রিলের তুলনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে সাপ্তাহিক লকডাউন মানার প্রবণতা অনেক বেশি। তাই অকারণে এই সময়ে বিশেষ রাস্তায় বেরতে দেখা যায় না তাঁদের। তবে ব্যতিক্রম সর্বত্র রয়েছে। তাই এখনও গুটিকয়েক মানুষের মধ্যে রয়ে গিয়েছে লকডাউন অমান্য করার প্রবণতা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.