সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: ত্রিপুরার কায়দায় বাংলায় লোকসভা নির্বাচনের কৌশল সাজাচ্ছে বিজেপি। পশ্চিমবঙ্গে আসন্ন লোকসভা ভোটে ভাল ফল করবে দল। মঙ্গলবার নৈহাটির মামুদপুরে এক দলীয় কর্মসূচিতে এসে এমনটাই জানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আমডাঙার রাজবেড়িয়াতে সাংগঠনিক বৈঠক সেরে এদিন সন্ধ্যায় মামুদপুরে দলের বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সম্পাদিকা ফাল্গুনী পাত্রর বাড়িতে চা-চক্রে যোগ দেন তিনি।
[এখনও জ্বলছে বাগরি মার্কেট, মালিক ও সিইও-র বিরুদ্ধে এফআইআর দমকলের]
দিলীপবাবু বলেন, শাসকদল আতঙ্কে ভুগছে। তাই বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা করছে। এদিকে, কাঁথিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সভায় এসে পুলিশের উপর হামলা চালানো ও মারধর করার অভিযোগে দুই বিজেপি কর্মীকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। মঙ্গলবার ধৃতকে কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। কাঁথি থানার পুলিশ ধৃত দুই যুবকের বিরুদ্ধে পুলিশকে মারধর, সরকারি কাজে বাধা-সহ একাধিক ধারার মামলার দায়ের করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তরা হল ভূপতিনগর থানার গাজিপুর গ্রামের গোবিন্দ দলাই ও কাঁথি থানার মাজনার পানিয়া গ্রামের স্বপ্নদীপ মণ্ডল।
সোমবার কাঁথি সেন্ট্রাল বাসস্টান্ডে একটি সংহতি হলে বিজেপির প্রশিক্ষণ শিবির ছিল। সেখানে উপস্থিত হন দিলীপ ঘোষ। সেই সভায় কাঁথির কয়েকশো বিজেপি কর্মী-সর্মথকের মধ্যে কয়েকজন দিলীপ ঘোষকে কালো পতাকা দেখায়। এরপর বিজেপির দুই গোষ্ঠীর মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়। কয়েকজন বিজেপি কর্মী কাঁথি থানার পুলিশের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থল থেকে দু’জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। রাতেই কাঁথি থানার পুলিশ একটি মামলার দায়ের করে। পরে দু’জনকে গ্রেপ্তার করে। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ উড়িয়ে বিজেপি অবশ্য এই ঘটনার দায় তৃণমূলের ঘাড়েই চাপিয়েছে। কাঁথির ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে রাজ্য সভাপতির উপর হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ ও পথ অবরোধও করে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। সিউড়িতে লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিক্ষোভ হয়। দক্ষিণ ২৪ পরগনা পূর্ব সাংগঠনিক জেলার সাত জায়গায় বিক্ষোভ হয় বলে জানান দলের জেলা সভাপতি সুনীপ দাস। উল্টোডাঙায় বিক্ষোভ হয়।
[ভাঙতে শুরু করল জ্বলন্ত বাগরি, প্রবল আতঙ্কে স্থানীয়রা]
মঙ্গলবার দুপুরে আমডাঙায় দলীয় কর্মসূচিতে গিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিকভাবে না পেরে ভয় দেখিয়ে বিজেপিকে আটকানোর চেষ্টা হচ্ছে। মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। এভাবে বিজেপিকে আটকাতে পারবে না তৃণমূল। তিনি জানান, সিপিএম-কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগদান করছে অনেকে। আমডাঙায় সদ্য জয়ী ১১ জন পঞ্চায়েত সদস্য গেরুয়া শিবিরে যোগদান করতে চাইছেন বলে এদিন দাবি করেন দিলীপ ঘোষ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.