হাসপাতালে কৃশানু, ছবি: মোহন সাহা।
রিন্টু ব্রহ্ম, কালনা: কল্পনার জগতের চরিত্রর মধ্যে ঢুকে পড়েছিল। ছোট্ট শিশুর বাস্তবের সঙ্গে সেই চরিত্রকে গুলিয়ে ফেলাই স্বাভাবিক। বোনেদের সঙ্গে ছাদে খেলতে উঠে নিজেকেই যেন সেই কাল্পনিক হিরো চরিত্র মনে করছিল। বোনেদের খেলা দেখাতে গিয়ে আচমকাই ঝাঁপ মারে ছাদ থেকে। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বছর চারেকের ওই শিশু।
রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কালনায়। আহত শিশুটির নাম কৃশানু হরি। হুগলির ত্রিবেণীতে বাড়ি। পুজোর ছুটিতে মায়ের সঙ্গে কালনার বৈদ্যপুরে মামার বাড়ি এসেছিল সে। এদিন সকালে কার্টুন চরিত্রের নকল করতে গিয়ে একতলার ছাদ থেকে পড়ে যায় কৃশা। তাকে নিয়ে যাওয়া হয় কালনা মহকুমা হাসপাতালে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আপাতত সুস্থ কৃশানু। তবে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা প্রয়োজন। চিকিৎসকদের অভয়বাণী শোনার পর হাসি ফোটে শিশুটির পরিবারের মুখে। তবে চিকিৎসকদের কথায়, খেলতে গিয়ে এইটুকু শিশু নিজে থেকেই ছাদ থেকে ঝাঁপ মেরেছে এই প্রবণতা বিপদজ্জনক। কেন সে উঁচু ছাদ থেকে ঝাঁপ দিতে গেল তা কাউন্সেলিং করে জানা দরকার।
শিশুটির পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, কৃশানু সারাদিনই কার্টুন দেখতে ভালবাসে। সব সময় ‘ছোটা ভীম’, ‘মাইটি রাজু’-সহ নানা কার্টুন। দিনভর ছুটোছুটিও প্রিয় কার্টুন চরিত্রের ডায়লগ বলে। এদিনও দেখা যায়, শিশুটি হাসপাতালে কিছুটা সুস্থ হওয়ার পরই পরিবারের সদস্যদের মোবাইলে কার্টুন দেখতে উদগ্রীব হয়ে পরে। শিশুটির মা শিল্পা হরি জানান, এদিন সকালে এক তলার ছাদে শিশুটি তার মামাতো বোন তিথি ও মেথি মণ্ডলের সঙ্গে খেলা করছিল। তিথি-মেথি প্রায় কাঁদতে কাঁদতে ছাদ থেকে নেমে আসে। জানায়, দাদা ছাদ থেকে নিচে ঝাঁপ দিয়েছে। শিল্পাদেবী বলেন, “আমাদের অনুমান, কার্টুন থেকেই প্রভাবিত হতে পারে কৃশানু। যার জেরে অবেগী হয়ে ঝাঁপ মেরেছে সে।” তিনি জানান, এই উঁচু ছাদ থেকে ঝাঁপ মেরেও ছেলে রক্ষা পেয়েছে। ঈশ্বরই রক্ষা করেছেন। বড় বিপদ ঘটে যেতে পারত। আগামী দিনে শিশুটির উপর আরও নজর রাখবেন যাতে এমনটা না ঘটে। পাশাপাশি চিকিৎসকের পরামর্শ মতো কাউন্সেলিং করানোর কথাও ভাবছেন তাঁরা। অন্যদিকে, এদিনই কালনার হাসানহাটি গ্রামে ঘুড়ি ওড়ানোর সময় ছাদ থেকে পড়ে জখম হয়েছে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র অপু বাগ। তাকে প্রথমে কালনা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভরতি করা হয়। পরে তাকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.