চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: বাড়ির সামনে বসেছিল বিশাল ভোজের আসর। ঠিক যেমনটা হয় বিয়ে, পৈতে বা অন্নপ্রাশনে। নাহ, গৃহস্থের পরিবারের নিজস্ব কোনও অনুষ্ঠান ছিল না, তবু আত্মীয় স্বজন, প্রতিবেশীরা ভোজ খেলেন কবজি ডুবিয়ে। উপলক্ষ্য, বাবুল সুপ্রিয় দ্বিতীয়বার হয়েছেন সাংসদ হয়েছেন আর আবারও প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। এই আনন্দেই সকলকে ভুরিভোজ করালেন মোদি ভক্ত এক খনিকর্মী। বুধবার এই অভিনব ঘটনার সাক্ষী থাকলেন রানিগঞ্জের চলবলপুরের বাসিন্দারা।
রানিগঞ্জের জেকে নগর চলবলপুরের বাসিন্দা নীরেনচন্দ্র দাস। পেশায় খনিকর্মী। সেন্ট্রাল কাজরা কোলিয়ারিতে কাজ করেন তিনি। বিজেপির সাধারণ কর্মী বলেই এলাকায় পরিচিত। ভারতীয় জনতা পার্টির কোনও পদেই তাঁর নাম নেই। কিন্তু তিনি মোদি ও বাবুল ভক্ত। তাই জয়ের আনন্দে বাড়িতে পাঁচশো লোককে নিমন্ত্রণ করে খাওয়ান। নিমন্ত্রিতদের তালিকায় দলের কোনও বড় নেতারা ছিলেন না। খুবই সাধারণ কর্মীদের সঙ্গেই ছিলেন আশেপাশের গ্রামের বাসিন্দারা। নীরেনবাবুর পারিবারিক অনুষ্ঠানে যাঁরা নিমন্ত্রণ পান তাঁরাই ছিলেন এদিনও।
বাঁকুড়া থেকে এসেছেন রাঁধুনি ঠাকুর। তাঁকে দিয়ে তৈরি করানো হয়েছে বাঙালির বিশেষ পদ। সরু চালের ভাত, ডাল, কুমড়োর তরকারি, মাংস, আমের চাটনি, লালদই ও মিষ্টি। নীরেনবাবু বলেন “আমি রানিগঞ্জের বিজেপির সদস্য। ৯০ সাল থেকে এই এলাকায় গেরুয়া ঝান্ডা ধরেছি। সিপিএমের অত্যাচার সহ্য করেছি, জেলও খেটেছি। দলের এই সাফল্যে আমি খুব খুশি।বাবুলদা আবারও মন্ত্রী ও মোদি আবারও প্রধানমন্ত্রী। তাই খুশিতে ভোজের আয়োজন করেছি।” জানা গিয়েছে, নীরেনচন্দ্র দে কিষাণ মোর্চার সহ-সভাপতির পদেও ছিলেন। এখন বিজেপির মাদার বা শাখা সংগঠনের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত নন। কিন্তু মনে প্রাণে গেরুয়া শিবিরের কর্মী। নীরেনচন্দ্র দাস জানান, তিনি ভারতীয় মজদুর সংগঠনের জেলা সভাপতির পদে রয়েছেন। গোটা ভোজের আয়োজনটি করেছেন গ্যাঁটের টাকা খরচ করে। প্রায় পঞ্চাশ হাজার টাকা খরচ হয়েছে তাঁর।
বাড়িতে স্ত্রী ছেলে ও দুই মেয়েও এই আয়োজনে খুশি। স্ত্রী বন্দনা দাস বলেন, আমরা খুশি তাঁর এই উদ্যোগে। যাঁরা এসেছিলেন ভোজ খেতে তাঁদের আপ্যায়নে কোনও ত্রুটি ছিল না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.