দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: যে রাঁধে, সে চুলও বাঁধে। এই প্রবাদবাক্যকে বাস্তবায়িত করছে তৃণমূলের মহিলা ব্রিগেড৷ এবার মেয়েরা কাঁধে তুলে নিলেন ভোটের মতো গুরুদায়িত্ব। লোকসভার অন্তর্গত একটি বিধানসভার ভোটের দায়িত্ব গোটাটাই সামলাচ্ছে নারী বাহিনী। তাঁদের দাপটে এখন কার্যত ভোটের প্রচার শুরু করতে পারেনি বিরোধীরা।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যেই পড়ে ক্যানিং পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্র। বাম আমলে এটি তাঁদেরই দূর্গ ছিল। রাজ্যে সরকার পরিবর্তন হওয়ার পর এই এলাকাটি পুরোপুরি চলে যায় ঘাসফুলের দখলে। এই বিধানসভা এলাকাতেই এবার পুরোপুরি ভোট পরিচালনার দায়িত্বে মহিলারা। তৃণমূলের মহিলা বাহিনীর প্রত্যেক সদস্য নিজেদের মতো করে কখনও দেওয়াল লিখছেন, তো কখনও সভা-সমাবেশের আয়োজন করছেন৷ আর এই মহিলাদের দাপটেই নাকি থরহরিকম্প অবস্থা বিরোধীদের৷ এই এলাকায় নেই বিরোধী কোনও প্রার্থীর দেওয়াল লিখন। এমনকী, প্রচারেও বেশ পিছিয়ে বিরোধীরা৷ ক্যানিং পূর্ব বিধানসভা এলাকার তৃণমূলের মহিলা নেত্রী ছন্দা কাণ্ডার বলেন, ‘‘আমরা পাড়ায়-পাড়ায় মিটিং,মিছিল করছি। মহিলাদেরকে বাড়ি থেকে ডেকে এনে সমবেশ করছি। বৈঠক করছি। কাজের চাপ সামলে পুরুষদের মিটিং-মিছিলে আসতে হচ্ছে না৷ তাই তাঁরাও বেশ খুশি৷ সব মিলিয়ে পুরুষদের ছাড়াই আমরা নির্বাচন করছি। যা একেবারে অভিনব।’’
সমস্ত বুথে পুরুষরাই ভোট পরিচালনার কাণ্ডারি৷ সেখানে শুধুমাত্র মহিলাদের নিয়ে পুরো বিধানসভার ভোট পরিচালনার কথা আগে শোনা যায়নি। ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক সওকত মোল্লা বলেন, ‘‘এলাকার বিভিন্ন জায়গায় সভা করছেন মহিলা কর্মীরা। চেষ্টা করছি প্রতিটা বুথে মহিলা এজেন্ট দেওয়ার।’’ তাঁর আশা মহিলাদের হাত ধরেই এবার জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রে জয়ের হাসি হাসবে তৃণমূল। জয়নগর কেন্দ্র থেকে এবার ভোটের ময়দানে লড়াই করছেন তৃণমূল প্রার্থী প্রতিমা মণ্ডল। বিজেপি প্রার্থী ডঃ অশোক কান্ডারী, আরএসপি প্রার্থী সুভাষ নস্কর, কংগ্রেস প্রার্থী তপন মণ্ডল ও এসইউসিআই প্রার্থী জয়কৃষ্ণ হালদার। তবে মহিলা প্রার্থী একমাত্র তৃণমূলের। তাই মহিলা প্রার্থীর জন্য নারী ব্রিগেড কোমর বেঁধে নেমেছেন প্রচারের ময়দানে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.