অরূপ বসাক, মালবাজার: আবারও প্রকাশ্যে শাসকদলের নব্য-পুরনো দ্বন্দ্ব৷ নয়া জেলা সভাপতি কিষাণ কল্যাণীর বিরুদ্ধে এবার পোস্টার পড়ল মালবাজারে৷ দলের পুরনো কর্মীদের অবজ্ঞা করার অভিযোগে নয়া জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে পোস্টার দিলেন জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের পুরনো কর্মীরা৷ যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার দিনভর উত্তেজনা ছড়াল জেলাজুড়ে৷
[ আরও পড়ুন: স্বামীর জন্মদিন, আসানসোলে এসে পুজো দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্ত্রী ]
শাসকদলের ওই পুরনো কর্মীদের একাংশের অভিযোগ, নিজের কাছের লোকদের নিয়ে সোমবার বৈঠকে ডাকেন নয়া জেলা সভাপতির কিষাণ কল্যাণী। যেখানে পুরনো তৃণমূল নেতা-কর্মীদের হাতে গোনা কয়েকজনকে ডাকলেও, একটা বড় অংশকে অবজ্ঞা করেছেন তিনি। যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে লড়াই করে এই এলাকায় তৃণমূলের ভিত শক্ত করেছেন, তাদের ডাকেননি তিনি। এলাকার পরিশ্রমী তৃণমূল কর্মীদের পাত্তা দিচ্ছেন না তিনি। এরই প্রতিবাদে সোমবার ওদলাবাড়িতে ‘কিষান কল্যাণী গো ব্যাক’ পোস্টার লাগান হয়৷ সেখানে অঞ্চল সভাপতি, গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান এবং দীর্ঘদিনের সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করেন মালবাজার তৃনমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি তমাল ঘোষ এবং চা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা তথা মালবাজার পুরসভার কাউন্সিলার পুলিন গোলদার। তাঁদের আরও অভিযোগ, নয়া জেলা সভাপতি কিষান কল্যাণী চা বাগানের মালিক। তাঁরই চা বাগানে ২০ শতাংশ বোনাসের দাবিতে শ্রমিকরা সোমবার বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। যে শ্রমিকগুলো জীবনের ঝুঁকি নিয়ে, বামপন্থীদের সঙ্গে লড়াই করে, তৃণমূল দলটা করে চলেছে, তাদেরকেই তিনি ঠকাচ্ছেন।
[ আরও পড়ুন: গণপিটুনি নিয়ে সচেতনতার সুফল, ছেলেধরাকে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন স্থানীয়রা ]
শ্রমিক নেতা তথা মাল পুরসভার কাউন্সিলার পুলিন গোলদার বলেন, ‘‘যাঁদেরকে নিয়ে উনি আজ বৈঠক করছেন, তাঁরা এক সময় বিজেপির হয়ে কাজ করত।’’ তমাল ঘোষ বলেন, ‘‘কিষান কল্যাণী, ওর নিজের পুরনো লোকদের নিয়ে প্যানেল তৈরি করে বৈঠক করছেন। অথচ যারা এখানে দলকে দাঁড় করিয়েছে, তাদের আমন্ত্রণ জানাননি। আমরা এই ঘটনার প্রতিবাদ করছি।’’ এখানেই শেষ নয়, পুরনো কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকের জন্য নয়া জেলা সভাপতিকে ১৫ দিনের সময়সীমা বেধে দিয়েছেন এই দুই নেতা৷ না হলে আগামিদিনে বড় বিক্ষোভেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.