ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: আগামী ১৩ তারিখ রাজ্যের ছয় কেন্দ্রে উপনির্বাচন। সপ্তাহ দুয়েক আগে তার দিনক্ষণ ঘোষণা হয়েছে। আর তার পর থেকে লাগু হয়ে গিয়েছে আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি। তারই মাঝে রাজ্যে এসে সরকারি কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পেট্রাপোল সীমান্তে গিয়ে ভারত-বাংলাদেশের যাত্রীদের জন্য অত্যাধুনিক টার্মিনাল ‘মৈত্রী দ্বার’ উদ্বোধন করেছেন। সেখানে একপ্রস্ত নির্বাচনী প্রচারও সেরেছেন। সরকারি সুযোগ-সুবিধাও নিয়েছেন। আর এনিয়েই তাঁর বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুলে কমিশনে চিঠি দিল তৃণমূল। দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি কমিশনকে লেখা চিঠিতে অমিত শাহকে শোকজ নোটিস পাঠানোর আবেদন জানিয়েছেন।
হাড়োয়া, নৈহাটি, সিতাই, মাদারিহাট, মেদিনীপুর, তালড্যাংরা – এই ছটি বিধানসভা কেন্দ্রে আগামী ১৩ নভেম্বর উপনির্বাচন। এইসব এলাকায় স্বভাবতই জারি আদর্শ আচরণবিধি। তারই মধ্যে গত রবিবার, ২৭ অক্টোবর বনগাঁর পেট্রাপোল সীমান্তে ‘মৈত্রী দ্বার’ উদ্বোধন করেছেন। সেখান থেকে ২০২৬-এ বঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনে প্রচারও সেরেছেন তিনি। পরিবর্তনের ডাক দিয়ে অমিত শাহর বক্তব্য ছিল, “বাংলায় অশান্তির মূলে রয়েছে অনুপ্রবেশ। তা বন্ধ হলে বাংলায় শান্তি ফিরবে। ২০২৬ সালে বাংলায় পরিবর্তন আনুন। অনুপ্রবেশ রুখবে বিজেপি।”
আর এই ভোটপ্রচার নিয়েই মূলত আপত্তি তুলল তৃণমূল। রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির তরফে নির্বাচন কমিশনের চিঠি পাঠিয়ে বলা হয়েছে, নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী যেসব জায়গায় ভোট বা উপনির্বাচন, সেখানে মন্ত্রীরা সরকারি অনুষ্ঠানে গেলেও প্রশাসনের কোনও সুবিধা গ্রহণ করা যায় না। সরকারি অনুষ্ঠানে গিয়ে ভোটের প্রচারে রাজনৈতিক মন্তব্য করা যায় না। কমিশনকে লেখা চিঠিতে এসব নিয়মের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি। অমিত শাহ সেই নিয়ম ভেঙেছেন বলে অভিযোগ। তাই তাঁকে শোকজ করার দাবি তুলেছেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.