নন্দন দত্ত, সিউড়ি: দীর্ঘদিনের লড়াই। পঞ্চায়েত এবার তৃণমূলের দখলে। রীতিমতো গঙ্গাজল দিয়ে দপ্তরটি ধুয়ে দায়িত্বভার গ্রহণ করলেন নয়া পঞ্চায়েত প্রধান। কারণ, গ্রাম পঞ্চায়েতটি যে বিজেপির দখলে ছিল! অভিনব ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের ময়ুরেশ্বরে। ময়ুরেশ্বর ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি নারায়ণ চন্দ্রের বক্তব্য, ‘আমরা পবিত্র পঞ্চায়েত গড়তে চাই। তাই গণতন্ত্রের মন্দিরকে সাফাই করলাম।’ আর বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায়ের কটাক্ষ, যে পবিত্রতা ছিল তা গঙ্গাজল দিয়ে সাফ করা হল।
[ আদর্শ জলাঞ্জলি দিয়ে আমডাঙায় পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনে বাম-রাম জোট]
বীরভূমের ময়ুরেশ্বর দুই ব্লকে সাত গ্রাম পঞ্চায়েতে দখল করেছে তৃণমূল। প্রধান ও উপপ্রধানের নামের তালিকা তৈরি দিয়েছিল শাসকদলের জেলা তৃণমূল। সেই তালিকা মেনেই সবকটি পঞ্চায়েতেই বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়াও সেরে ফেলেছেন দলের স্থানীয় নেতারা। কুন্ডলা গ্রাম পঞ্চায়েত ছিল বিজেপির দখলে। খোদ পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধেই অন্যের নামে বরাদ্দ বাড়ি নিজের শাশুড়িকে পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগে এক বছর ধরে লাগাতার আন্দোলন করে গিয়েছে শাসকদল। ফলও মিলেছে হাতেনাতেই। ১৬ আসনের কুন্ডলা গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৩টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছেন শাসকদলের প্রার্থীরা।
বুধবার ছিল কুন্ডলা গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন। দলের কার্যালয় থেকে পঞ্চায়েত দপ্তর পর্যন্ত শোভাযাত্রা করেন তৃণমূল কংগ্রেসে কর্মী-সমর্থকরা। মহিলারা পরেছিলেন ঘাসফুল আঁকা শাড়ি ও পুরুষরা দলের প্রতীক আঁকা গেঞ্জি। বোর্ড গঠনের পর পঞ্চায়েত অফিসের সদর দরজা, এমনকী, পঞ্চায়েত প্রধানে চেয়ারটিও গঙ্গাজল ধুয়ে পবিত্র করেন শাসকদলের কর্মী-সমর্থকরা। কুন্ডলা গ্রাম পঞ্চায়েতের নবনির্বাচিত প্রধান সুমন্ত পাল বলেন, পঞ্চায়েত এখন থেকে গণতন্ত্রের মন্দির হয়ে উঠল। এখানে মানুষের উন্নয়নে জেগে থাকবেন তৃণমুল কর্মীরা। বস্তুত, ময়রেশ্বর পঞ্চায়েতটিও হাতছাড়া হয়েছে বিজেপির। তবে এই পঞ্চায়েতের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন বীরভূম জেলা বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দুধকুমার মণ্ডল।
[ দলীয় কর্মীকে ‘হুমকি’, অভিযোগে বাবুলের বিরুদ্ধে জোড়া মামলা দায়ের
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.