সৌরভ মাজি, বর্ধমান: ঝাঁজ বাড়িয়ে ডবল সেঞ্চুরির পথে পিঁয়াজ। হেঁশেলে তার প্রবেশই নিষিদ্ধ হয়ে গিয়েছে। এর চেয়ে বরাবরের দামী ফলগুলোও তুলনায় সস্তা মনে হচ্ছে এখন। আর সেই তুলনা টেনে অভিনব প্রতিবাদে নামল পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল। মঙ্গলবার দুপুরে কার্জন গেটে তৃণমূলের তরফে সকলকে বিলি করা হয় আপেল।
বাজারে নজরদারি, বাইরে থেকে পেঁয়াজ আমদানি, কম দামে সুফল বাংলা-সহ একাধিক জায়গায় পিঁয়াজ বিক্রি। এত ব্যবস্থা নিয়েও পিঁয়াজের দামে লাগাম পরানো যাচ্ছে না। এখনও মধ্যবিত্তের নাগালে এল না পিঁয়াজের দাম। সুফল বাংলার স্টল ছাড়া খোলা বাজারে কেজি প্রতি দেড়শোর নিচে মিলছে না পিঁয়াজ। এতদিন যে আপেল ছিল মধ্যবিত্তের কিছুটা নাগালের বাইরে, অগ্নিমূল্য পিঁয়াজের কাছে সেটাই এখন সস্তা মনে হচ্ছে। ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজিতেই পাওয়া যাচ্ছে আপেল। পিঁয়াজের এই মূল্যবৃদ্ধির জন্য আগেই কেন্দ্রীয় সরকারকে দায়ী করেছে রাজ্যের তৃণমূল সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার এমন অভিযোগ তুলেছেন।
এবার এ নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে অভিনব রাস্তায় হাঁটল পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল। সংগঠনের কো-অর্ডিনেটর তথা জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি দেবু টুডুর নেতৃত্বে আজ দুপুরে বর্ধমানের কার্জন গেটের কাছে পথচলতি মানুষজনকে আপেল বিলি করলেন তৃণমূল কর্মীরা। প্রত্যেকের পোশাকের সঙ্গে প্রতিবাদী পোস্টার লাগানো ছিল, যাতে বড় করে পিঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধির জন্য মোদি সরকারকে দায়ী করে লেখা স্লোগান। পাশাপাশি সেখানে একটি ছোট প্রতিবাদ মঞ্চও ছিল জেলা তৃণমূলের তরফে। সেখানে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখেন দেবু টুডু, জয়হিন্দ বাহিনীর পূর্ব বর্ধমান জেলা সভাপতি রবীন নন্দী।
শীতের দুপুরে রাস্তায় বেরিয়ে সুস্বাদু আপেল হাতে পেয়ে খুশি পথচারীরাও। তাঁরাও বলছেন, পিঁয়াজের তুলনায় আপেল এখন সস্তা। তাই স্বাস্থ্যের নজর রাখতে আপেল খাওয়ার অভ্যেস করছেন অনেকেই। জেলা তৃণমূলের এই উদ্যোগে খুশি তাঁরা। প্রতিবাদের মোড়কে সাধারণ মানুষের হাতে আপেল তুলে দেওয়া বিশেষ প্রশংসনীয়, বলছেন নবীন থেকে প্রবীণ – সকলেই।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.