সৌরভ মাজি, বর্ধমান: প্রকাশ্যে তৃণমূল (TMC) বনাম তৃণমূল দ্বন্দ্ব। এবার রাস্তা নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধেই অভিযোগে সরব পঞ্চায়েতের সাত তৃণমূল সদস্য। পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের এই ঘটনা নিয়ে এলাকায় শোরগোল।
ঘটনার সূত্রপাত একটি রাস্তা নির্মাণকে কেন্দ্র করে। অভিযোগ, ওই রাস্তা তৈরির ক্ষেত্রে কোনও টেন্ডার ডাকা হয়নি। এদিকে রাস্তার অবস্থা দিন দিন আরও খারাপ হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে স্থানীয়রাই সেই কাজ করে নেন। আর তা নিয়েই রীতিমতো উত্তপ্ত গোটা এলাকা। ১২ জন সদস্য রয়েছেন জামালপুর (Jamalpur) ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে। তার মধ্যে তৃণমূলের প্রতীকে নির্বাচিত সদস্য ১১ জন। একজন বিজেপির সদস্য। তৃণমূলের ১১ জন সদস্যের মধ্যে সাতজন সদস্যই বাকিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সরব। তাঁরা ব্লক, জেলা ও রাজ্য প্রশাসনের কাছে দুর্নীতির অভিযোগ জানিয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, রাস্তা নির্মাণ নিয়ে দুর্নীতি করা হচ্ছে। ১০০ দিনের কাজ নিয়েও দুর্নীতি করা হচ্ছে বলেই অভিযোগ। কমিউনিটি হল ও কালভার্ট নির্মাণও ঠিকঠাকভাবে হয়নি। তাই সাধারণ মানুষ পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তা তাঁরা কোনওভাবেই বরদাস্ত করবেন না।
যদিও পঞ্চায়েত প্রধান মণিকা মুর্মু এইসব অভিযোগ মানতে চাননি। তিনি বলেছেন, “সব মিথ্যা অভিযোগ। আমার পঞ্চায়েতে কোনও দুর্নীতি নেই।” উপপ্রধান উদয় দাস বলেন, “রাস্তা নির্মাণ হয়েছে ঠিকই। তবে রাস্তার কাজের সঙ্গে পঞ্চায়েতের কোনও সম্পর্ক নেই। পঞ্চায়েত থেকে রাস্তার কাজের কোনও টেন্ডার হয়নি, কাউকে কাজের বরাতও দেওয়া হয়নি।” অবশ্য জামালপুর ব্লক তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি তথা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য প্রদীপ পাল বলেন, “রাস্তার কাজ নিয়ে যে দুর্নীতি হয়েছে তা ধরা পড়ে যাওয়ার পরেই পঞ্চায়েতের কর্তারা এখন উলটো কথা বলছেন তাঁরা। আর পঞ্চায়েতের কর্তাদের কথায় টাকা খরচ করে যারা রাস্তা তৈরি করেছেন তারা এখন চোখের জল ফেলে দিন কাটাচ্ছেন।” পঞ্চায়েত ওইসব রাস্তা তৈরি করায়নি বলেই জানিয়েছেন জামালপুর ২ নম্বর ব্লকের বিডিও শুভঙ্কর মজুমদার। তিনি স্পষ্ট জানান, ওইসব রাস্তার নির্মাণ নিয়ে পঞ্চায়েতের কোনও দায় নেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.