ছবি: প্রতীকী
রাজা দাস, বালুরঘাট: ফের দক্ষিণ দিনাজপুরে তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে চলল গুলি৷ গঙ্গারামপুরের ঘটনায় আমন রায় নামে বছর পঁয়তাল্লিশের এক তৃণমূল কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন। ঘটনার সময়ে হামলাকারীদের মুখে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি শোনা গিয়েছিল বলে অভিযোগ জানিয়েছেন জখম আমন রায়৷ যদিও এই ঘটনার সঙ্গে কোনও যোগ নেই বলে দাবি করেছে জেলা বিজেপি। তাদের পালটা দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল এই হামলা৷
গঙ্গারামপুর থানার নন্দনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কাঁটাতোর এলাকার বাসিন্দা আমন রায় তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী৷ তিনি পেশায় কৃষক। অভিযোগ, শনিবার রাতে এলাকার বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে আমন রায়ের দাদা পবন রায়ের বাড়িতে হামলা চালায়। আমন সেখানে ছুটে যেতেই, তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। একটি গুলি আমনের ডান কাঁধে লাগে। ঘটনার পরই সেখান থেকে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা৷ আমনকে উদ্ধার করে গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভরতি করা হয়। কিন্তু সেখানে আমনের কাঁধ থেকে গুলিটি বের করা সম্ভব হয়নি৷ তাই তাঁকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
ঘটনায় মোট ন’জনের বিরুদ্ধে রবিবার গঙ্গারামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে আক্রান্ত আমনের দাদা পবন রায়। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। অন্যদিকে, অভিযুক্তদের মধ্যে বাবুল রায় ও প্রভাস সরকার আগে সিপিএম কর্মী ছিলেন। পরে তারা তৃণমূলে যোগ দেয়। যদিও কয়েকদিন ধরে তাঁদের মুখে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনিও উচ্চারিত হতে শোনা গিয়েছে। আক্রান্ত আমন রায় জানান, তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় বাবুলরা।
আক্রান্তের দাদা পবন রায়, গ্রামবাসী বাপি দাসের কথায়, কিছুদিন ধরে নন্দনপুর এলাকার কাঁটাতোরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে রাজনৈতিক টানাপোড়েনের কারণে। ঘটনায় দোষীরা এখনও অধরা। বিজেপির গঙ্গারামপুর ব্লক সভাপতি সনাতন কর্মকারের অভিযোগ, তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে এই গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে। বিপ্লব মিত্রকে জেলা সভাপতির পদ থেকে সরানোর পর সেই কোন্দল চরম আকার নিয়েছে। নিজেদের বিবাদ ঢাকা দিতে বিজেপির উপর দোষ চাপানোর চেষ্টা চলছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.