জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: লকডাউনের তোয়াক্কা না করেই বিভূতিভূষণ অভয়ারণ্যে ‘পিকনিকে’ মেতেছিলেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। রবিবার দুপুরে বিষয়টি স্থানীয়রা টের পেতেই কাটল তাল। দীর্ঘক্ষণ অভয়ারণ্যের মূল গেট আটকে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে আয়ত্তে আসে পরিস্থিতি। যদিও তৃণমূলের দাবি, পিকনিক হচ্ছিল না সেখানে। স্থানীয়দের অভিযোগ ভিত্তিহীন।
জানা গিয়েছে, লকডাউন জারি থাকায় দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধ বিভূতিভূষণ অভয়ারণ্য। ফলে পর্যটকদের আনাগোনা নেই সেখানে। এই পরিস্থিতিতে রবিবার সকালে স্থানীয়দের নজরে পড়ে বনভূমি কর্মাধ্যক্ষ অরূপ পাল, জেলা পরিষদের সদস্য পরিতোষ সাহা, রাম বোস-সহ বাগদা এলাকার শতাধিক তৃণমূল নেতা-কর্মীরা ওই অভয়ারণ্যে প্রবেশ করেছেন। কিছুক্ষণ কাটতেই তাঁরা বুঝতে পারেন পাঁচিলে ঘেরা অভয়ারণ্যের ভিতর চলছে পিকনিক। এতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। ফরেস্টের গেটের বাইরে শুরু হয় বিক্ষোভ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বিজেপি নেতা অমৃতলাল বিশ্বাস। বিক্ষোভে শামিল হয় বিজেপির নেতা-কর্মীরা। দীর্ঘক্ষণ পর পুলিশের উপস্থিতিতে স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি। বিজেপি নেতাদের কথায়, আমফান ও রেশনের কাটমানির টাকায় পিকনিক করছে তৃণমূল নেতারা। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
ওই পিকনিকে উপস্থিত তৃণমূল নেতা বলেন, “আমফানে বহু গাছ নষ্ট হয়েছে। সেই গাছের বিষয়ে আলোচনা করতে গিয়েছিলাম।” এপ্রসঙ্গে বিভূতিভূষণ অভয়ারণ্যের বিট অফিসার সুপ্রিয় চক্রবর্তী বলেন, “বনভূমি কর্মাধ্যক্ষকে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলাম গাছ লাগানোর বিষয় নিয়ে। তিনি সেই আলোচনা করতেই বেশ কয়েকজনকে নিয়ে এসেছিলেন বলে জানি৷ পিকনিকের কথা জানা নেই।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.