ছবি: প্রতীকী।
সৌরভ মাজি, বর্ধমান: ক্লাবের দখলকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে লাগল রাজনৈতিক রং। উত্তেজনার মাঝে কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে এক তৃণমূল (TMC) কর্মীকে খুনের অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বর্ধমান (Burdwan) শহরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের ডাঙা এলাকা। অভিযোগ, রবিবার রাতে ওই ক্লাবে পিকনিক চলাকালীন হামলা চালিয়ে খুন করা হয় তৃণমূল কর্মী তথা ক্লাবেরই প্রাক্তন সম্পাদক মহম্মদ আকবর ওরফে কালোকে। জখম হয়েছেন আরও ৫ জন। ঘটনায় অভিযুক্ত শেখ মুন্নার গোষ্ঠীর সদস্যরা বিজেপির (BJP) সঙ্গে যুক্ত বলে দাবি জখমদের।
জানা গিয়েছে, জোনাকি সংঘ ক্লাবের তরফে দিঘা ভ্রমণের আয়োজন করা হয়। তার জন্য এলাকায় ফ্লেক্স লাগিয়ে প্রচার করা চলছিল। অভিযোগ, মুন্নার দলবল সেইসব ফ্লেক্স ছিঁড়ে দেয়। এই নিয়ে রবিবার রাতে ক্লাবে বৈঠক ডাকা হয়েছিন। চলছিল পিকনিকও। ওই বৈঠকে ক্লাবে আকবরের গোষ্ঠীর সদস্যরা হাজির থাকলেও, মুন্নার লোকজন অনুপস্থিত ছিলেন। রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ আচমকা ক্লাবে রড, লাঠি, বাঁশ নিয়ে হামলা চালায় মুন্না ও তার সঙ্গীরা। পিছন থেকে হামলা চালিয়ে ব্যাপক মারধর করা হয় আকবর ওরফে কালোকে। তাঁর আত্মীয় শেখ মঞ্জুরের দাবি, কুড়ুল দিয়ে কোপানো হয়েছে আকবরকে। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভরতি করা হয় তাঁকে। পরে সেখানেই মৃত্যু হয় আকবরের। এদিন ক্লাবেও ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। কয়েকটি বাইক ভাঙচুর করা হয়।
শেখ জসিমউদ্দিন নামে জখম এক ব্যক্তি হাসপাতালে দাঁড়িয়ে জানান, ”মুন্না এখন বিজেপি করে। জোনাকি সংঘ নামে ওই ক্লাবের দখল নিতে চাইছে বিজেপি। তাই হামলা করেছে ওরা। বোমাবাজিও করে।” স্থানীয় সূত্রে খবর, এর আগে ক্লাবের দায়িত্বে ছিলেন আকবর। বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে তাঁকে সম্পাদক পদ সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কয়েকদিন আগে আবার এলাকার লোকজন আকবরকে ক্লাবে ফেরায়। সেই আক্রোশ থেকে হামলা হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা স্থানীয়দের। তবে বিষয়টিতে রাজনৈতিক রং লেগেছে। স্থানীয় বিজেপি নেতা কল্লোল নন্দনের যদিও দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগ নেই। এ নিয়ে মূল অভিযুক্ত মুন্নার কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.