ছবি: প্রতীকী
বিক্রম রায়, কোচবিহার: তৃণমূল কর্মীকে খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল কোচবিহারের দিনহাটা এলাকায়। তবে রাজনৈতিক হিংসা নয় পারিবারিক বিবাদের জেরেই খুন, এমনটাই মনে করছে দিনহাটা থানার পুলিশ। ইতিমধ্যেই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা বিজেপি কর্মী হিসাবেই পরিচিত৷
জানা গিয়েছে, বুধবার ভরসন্ধেয় দিনহাটার পেটলা বাজার থেকে বড়ডাঙা এলাকার দিকে যাচ্ছিলেন তৃণমূল কর্মী আজিজার রহমান। অভিযোগ, সেই সময় কেউ বা কারা তাঁকে ডেকে নিয়ে যায় এলাকারই একটি বাড়িতে। সেখানেই বেধড়ক মারধর করা হয় ওই প্রৌঢ়কে। অভিযোগ, মারধরের ফলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় আজিজারের। খবর পেয়েই পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতোর। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, আজিজার তৃণমূলের বুথ কমিটির সদস্য। সেই কারণেই বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা পরিকল্পনামাফিক তাঁকে খুন করেছে। বিজেপির পালটা অভিযোগ, ‘‘গোটা ঘটনাটি তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল। বিজেপি কোনওভাবেই এধরণের কোনও ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়৷’’ খুনের কারণ সন্ধানে এদিনই স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।
কিন্তু স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলার পর অন্য তথ্য আসে তদন্তকারীদের হাতে। সূত্রের খবর, আজিজারের ছেলের সঙ্গে এলাকারই এক তরুণীর বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু সেই সম্পর্ক টেকেনি। তা নিয়ে মামলাও চলছে। অভিযোগ, সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরেই দুই পরিবারের মধ্যে বিবাদ চলছিল। স্থানীয়দের দাবি, সেই অশান্তির কারণেই আজিজারের ছেলের শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা খুন করেছে তাঁকে। স্থানীয়দের থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই মৃতের ছেলের শ্বশুর ও শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতরা বিজেপি কর্মী হিসাবে পরিচিত৷ পারিবারিক বিবাদের তত্ত্ব প্রকাশ্যে আসার পর বিজেপি নেতৃত্বের তরফে দাবি করা হয়, সব জানা সত্ত্বেও তাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছিল তৃণমূল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.