নন্দন দত্ত, সিউড়ি: ভোট পর্ব শেষ হতেই উত্তেজনা ছড়াল বীরভূমের মল্লারপুর গ্রামে। হাঁসুয়া দিয়ে বিজেপি কর্মীর হাতে কোপ মারার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের এক কর্মীর বিরুদ্ধে। এর জেরে ওই তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে ভাঙচুর চালায় বিজেপি। গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর বাড়ি ঘিরে বিক্ষোভও দেখায়।
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর মল্লারপুর গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করে বিজেপি। তারপর থেকেই স্থানীয় তৃণমূল ও বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে চাপা উত্তেজনা ছিল। সোমবার লোকসভা ভোটের দিন তা চরমে ওঠে। স্থানীয় তৃণমূল বিধায়কের অনুগামী বিকাশ পত্রধর বিজেপির এজেন্টকে বুথে বসতে বাধা দেন বলে অভিযোগ। অনেক বিতর্কের পর সেই সমস্যার সমাধান হয়। বুথে বিজেপির এজেন্টও বসেন।
যদিও বিজেপির অভিযোগ, ওই ঘটনার পরেও ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছিলেন স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা। অনেক ভোটারকে হুমকিও দিচ্ছিলেন। যার নেতৃত্বে ছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির ঠিকাদার বিকাশ পত্রধর। এত কিছুর পরেও ভোট নির্বিঘ্নে শেষ হয়। কিন্তু, মঙ্গলবার সকালে বিকাশ পত্রধর বিজেপি কর্মী কার্তিক বাউড়ি ও রিন্টু বাউড়ির ওপর হামলা চালায়।
বিজেপির দাবি, সোমবার গ্রাম মল্লারপুর বুথের দায়িত্বে ছিলেন দু’ভাই কার্তিক ও রিন্টু। তার জেরে মঙ্গলবার সকাল আটটা নাগাদ কার্তিকরা যখন বাজার যাচ্ছিলেন, তখন বিকাশ হাঁসুয়া নিয়ে তাঁদের উপর চড়াও হন। কার্তিকের ডান হাতে কোপ মারেন। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে হাতের আঙুল কেটে যায় ভাই রিন্টুর। পরে তাঁদের মল্লারপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে, এই ঘটনার কথা জানতে পেরে বিকাশের বাড়িতে চড়াও হন বিজেপি সমর্থকরা। তাঁর বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি বিকাশের আঙুল চাই বলেও দাবি করেন। এই ঘটনার কথা শুনে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন বিজেপির জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য অতনু চট্টোপাধ্যায়। পরে এপ্রসঙ্গে তিনি জানান, নিরীহ মানুষদের ওপর কেন অস্ত্র নিয়ে হামলা হল,তার জবাব দিতে হবে প্রশাসনকে। আমরা এর বিচার চাই। এখনই তৃণমূলের সন্ত্রাস বন্ধ করতে হবে।
তৃণমূলের ব্লক সভাপতি তথা বিধায়ক অভিজিৎ রায় বলেন, ‘কাল রাতেই ভোট শেষ হয়েছে। খবর নিয়ে দেখতে হবে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য ওই এলাকায় পুলিশকে যেতে বলা হয়েছে।’ মল্লারপুর থানা সূত্রে খবর, বিকাশ পত্রধরকে আটক করা হয়েছে।
ছবি : সুশান্ত পাল
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.