ছবি: প্রতীকী
ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, বারাকপুর: ফের শুটআউট ভাটপাড়ায় (Bhatpara)। বুধবার সকালে প্রকাশ্যে স্থানীয় তৃণমূল (TMC) নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে দুষ্কৃতীরা। গুলিবিদ্ধ তৃণমূল যুব নেতা ধর্মেন্দ্র সিং ওরফে ধরুয়া বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অভিযোগ, দুই দুষ্কৃতী বাইকে চেপে এসে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করলে, মাথার পিছনে গুলি লেগে বেরিয়ে যায়। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপির লোকজন এ কাজ করেছে। অভিযোগের তির বিজেপি (BJP) সাংসদ অর্জুন সিংয়ের দিকে। বিজেপির পালটা অভিযোগ, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে গুলিবিদ্ধ হয়েছে ওই নেতা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন সকালে আর্যসমাজ মোড়ে একটি কারখানার কাছে দাঁড়িয়েছিলেন ধর্মেন্দ্র সিং। সেই সময় কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। একটি গুলি তাঁর মাথার পিছনে লাগে। তিনি জখম হয়ে লুটিয়ে পড়তেই দুষ্কৃতীরা ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয়। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
ভাটপাড়া তৃণমূলের অবজারভার সুবোধ অধিকারী জানান, ধর্মেন্দ্র অর্জুন সিংয়ে অনুগামী হিসেবে পরিচিত ছিল। তাঁর হাত ধরেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছিল সে। কিন্তু কিছুদিন পর থেকেই অর্জুনের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বাড়তে থাকে। পরে তৃণমূলেই ফিরে ধর্মেন্দ্র। সুবোধ অধিকারীর অভিযোগ, “তারপর থেকেই ধর্মেন্দ্রকে বিভিন্ন সময় একাধিক নম্বর থেকে খুনের হুমকি দিত অর্জুন সিং, তাঁর ভাইপো পাপ্পু সিং ও তাঁদের অনুমগামীরা। অর্জুন সিংই লোক লাগিয়ে এদিন ধর্মেন্দ্রকে খুনের চেষ্টা করেছে।” তাঁর অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন সাংসদ অর্জুন সিং। তাঁর কথায়, “তৃণমূলের নিজেদের গণ্ডগোলের জেরে গুলিবিদ্ধ হয়েছে ধর্মেন্দ্র।”
এদিকে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বারাকপুর পুলিশ। বারাকপুর কমিশনারেটের ডিসি সাউথ অজট ঠাকুর জানিয়েছেন, ধর্মেন্দ্র এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত। কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ জোগাড় করার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.