Advertisement
Advertisement

Breaking News

বাবার খুনিদের সাজার আগেই সাক্ষী ছেলেকে 'খুনের চেষ্টা

সাজার আগেই বাবার খুনের একমাত্র সাক্ষী ছেলেকে হত্যার ছক! নাম জড়াল তৃণমূলের

কুলতলি থানায় খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

TMC worker allegedly attempt to murder a young man in S24 Paragana
Published by: Sayani Sen
  • Posted:August 29, 2020 6:19 pm
  • Updated:August 29, 2020 6:19 pm

দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: আর মাত্র দু’সপ্তাহ। তারপর বাবার খুনের অপরাধীরা চরম সাজা পাবে। আর সেই সাজা থেকে বাঁচতে ফের সাক্ষী ছেলেকে খুনের চেষ্টা। গুরুতর আহত অবস্থায় ডায়মন্ড হারবারের একটি নার্সিংহোমে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন ছেলে জিয়াউল হক মণ্ডল। খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে কুলতলি থানায়।

প্রত্যেক দিনের মতো শনিবার ভোরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলি থানার বাইশহাটা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা জিয়াউল নতুন হাট বাজারে যাচ্ছিলেন। অভিযোগ, হঠাৎই কয়েকজন ব্যক্তি ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাঁর উপর হামলা চালায়। মাথা ও হাতের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে তাঁর। আহত ব্যক্তি সিপিএমের লোকাল কমিটির সদস্য বলেই জানা গিয়েছে। কিন্তু কেন হামলা? সিপিএমের তরফে জানানো হয়েছে, ১৯৯৬ সালের বাইশহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিএমের তৎকালীন লোকাল কমিটির সম্পাদক ইসমাইল মোল্লাকে রাস্তার উপরেই কুপিয়ে খুন করা হয়। পেশায় প্রাক্তন শিক্ষক ইসমাইল মোল্লারই ছেলে জিয়াউল। এছাড়া এই ঘটনার একমাত্র সাক্ষী সে। বর্তমানে ওই খুনের মামলা চলছে বারুইপুর মহকুমা আদালতে। ইতিমধ্যেই দোষী সাব্যস্ত হয়েছে ৬ জন। সাক্ষীকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিয়ে মামলা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য হামলা বলে অভিযোগ সিপিএমের।

Advertisement

[আরও পড়ুন: প্রেমিকার প্ররোচনায় আত্মঘাতী যুবক! কিশোরীর বিরুদ্ধে আইনের দ্বারস্থ নিহতের বাবা]

এ বিষয়ে কুলতলির বিধায়ক রাম শংকর হালদার বলেন, “আহত ব্যক্তির বাবার খুনের অপরাধীরা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। কারণ কয়েকদিনের মধ্যেই এই মামলার সাজা ঘোষণা হবে। এই ঘটনার সঙ্গে এসইউসিআই এবং তৃণমূল যুক্ত। কারণ তখন যারা ওর বাবাকে খুন করেছিল সেই সব দুষ্কৃতীরা আগে এসইউসিআই করলেও বর্তমানে তারা তৃণমূলে রয়েছে।” 

Advertisement

 তবে সিপিএমের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে এসইউসিআই এবং তৃণমূল দু’পক্ষই। এসইউসিআইয়ের কুলতলির প্রাক্তন বিধায়ক জয়কৃষ্ণ হালদার বলেন, “এই ঘটনার সঙ্গে আমাদের দলের কেউ যুক্ত নয়। সিপিআইএমরা এলাকায় নিজেদের সুবিধা ভোগের জন্য তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলে। ফলে এটা তাদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।” তৃণমূলের যুব সভাপতি গণেশ মণ্ডল দাবি করেছেন, এই ঘটনার সঙ্গে তাদের দলের কেউ যুক্ত নয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। 

[আরও পড়ুন: দাবিমতো টাকা না পেয়ে একমাস পর হামলা, ঝাড়গ্রামে ব্যবসায়ীকে গুলি মাওবাদীদের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ