কৃষ্ণকুমার দাস: কলকাতার গড়িয়ার লাগোয়া ‘দ্য বোড়াল ইউনিয়ন কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক লিমিটেড’ সমবায় ব্যাঙ্কের নির্বাচনে প্রার্থীই খুঁজে পেল না বাম ও বিজেপি। বিরোধী দুই দলের একজনও মনোনয়ন জমা না দিতে পারায় ২৬ বছর পর ভোটে ৬৯টি আসনেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীরা।
রবিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বৃহত্তম এই সমবায় ব্যাঙ্কে জয়ীদের হাতে সার্টিফিকেট তুলে দিয়েছেন নির্বাচন পরিচালন কর্তৃপক্ষ। কলকাতার গড়িয়ার পার্শ্বস্থ বোড়ালে ব্যাঙ্কের ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে নেতৃত্ব দেন স্থানীয় বিধায়ক ফিরদৌসি বেগম ও রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল নজরুল মণ্ডল। উল্লেখ্য, এই সমবায় ব্যাঙ্কে শেষ ভোট হয়েছিল ১৯৯৯ সালের ৯ সেপ্টেম্বর। ২০০২ সালের ৬ আগস্ট সেই নির্বাচিত পরিচালন পর্ষদ বিলুপ্ত হওয়ার পর আর নির্বাচন হয়নি।
১৯৩০ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সমবায়ে একসময় ২৬ হাজার গ্রাহক-সদস্য ছিল। যথেষ্ট লাভজনক সংস্থা হিসাবে সম্মানের সঙ্গে চলছিল। কিন্তু ২০০১ সালের পর তৎকালীন বামপন্থী পরিচালন পর্ষদ এবং একশ্রেণির কর্মচারীর অনৈতিক সিদ্ধান্তের জেরে লোকসানে চলতে শুরু করে। ফলশ্রুতিতে ৭.১৫ কোটি টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হয় ব্যাঙ্ক। বাংলায় পরির্বতনের পর ২০১২ সালে মা-মাটি-মানুষ সরকারের প্রশাসন এই সমবায় ব্যাঙ্কের পরিচালন পর্ষদে নজর দেন। শেষে রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপে ২০১৭ সালে নতুন সিইও নিয়োগ হতেই ব্যাঙ্কের কর্মচারিরা আন্তরিকভাবে পরিশ্রম শুরু করেন। কালক্রমে দ্রুত ব্যাঙ্কটি আস্থা ফিরে পায় সদস্য ও গ্রাহকদের। এর ফলে ২০২২ সালেই ক্ষতির কলঙ্ক মুছে লাভের মুখ দেখে ব্যাঙ্কটি।
গত ৮ মার্চ ‘দ্য বোড়াল ইউনিয়ন কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক লিমিটেড’ নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি করে। ৮ এপ্রিল মনোনয়ন জমার শেষ দিন ছিল। কিন্তু কলকাতার লাগোয়া একদা সিপিএমের কার্যত দূর্গ হিসাবে পরিচিত বোড়ালে ৬৯টির মধ্যে একটি মনোনয়নও জমা দিতে না পারা যে বিরোধীদের চরম ধাক্কা তা স্বীকার করে নিয়েছেন বাম-বিজেপি নেতারা। স্থানীয় বিধায়ক ফিরদৌসি বেগম জানিয়েছেন,‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৯৪টি সামাজিক প্রকল্প এবং মানুষের পাশে তৃণমূল ৩৬৫ দিন ২৪ ঘণ্টা থাকার জন্যই সমবায় ভোটেও একজনও বিরোধীদের হয়ে মনোনয়ন জমা দিতে আসেননি।’’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.