ফাইল ছবি
স্টাফ রিপোর্টার, কাঁথি: আবারও ধরাশায়ী পদ্ম শিবির। বিজেপির হাত থেকে সমবায় সমিতি ছিনিয়ে নিল তৃণমূল কংগ্রেস। ভগবানপুর ২ ব্লকের জুখিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ইক্ষুপত্রিকা সমবায় সমিতির ১২টি ডেলিগেট আসনে নির্বাচন ছিল বুধবার। মোট ৩২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। মোট ভোটার ৮৩৯ জন। ভোট পড়েছে ৭৪৬টি। সবকটি আসনে জয়লাভ করে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীরা। ফলে শুভেন্দুগড়েই মুখ থুবড়ে পড়ল বিজেপি।
এই সমবায় সমিতির সম্পাদক পদে ছিলেন কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের প্রাক্তন সহ-সভাপতি তথা ব্লক তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি শশাঙ্কশেখর জানা। তবে তিনি কয়েক মাস আগে বিজেপিতে যোগদান করেছেন। রাজনৈতিক মহলের দাবি, শশাঙ্কবাবুর বিজেপিতে যোগদান করা এলাকার মানুষ ভালোভাবে নেননি। তাই তৃণমূলের প্রতিই আস্থা রেখেছেন তাঁরা। তবে বিজেপি অনেকভাবেই এই সমবায় সমিতিকে নিজেদের দখলে রাখতে মরিয়া চেষ্টা চালিয়েছিল। কিন্তু ভোটাররাই রুখে দিয়েছেন বলে দাবি তৃণমূলের।
এদিন সকাল থেকে টানটান উত্তেজনার মধ্যে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মানব পড়ুয়া বলেন, ‘‘মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের সঙ্গে থেকেছেন। ইক্ষুপত্রিকা সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচনেও ভোটাররা তৃণমূলকেই দুই হাত তুলে আশীর্বাদ করেছেন। যাঁরা তৃণমূল থেকে সমস্ত সুযোগ-সুবিধা নিয়ে দল বদল করে সমিতি দখলের চেষ্টা করেছিলেন, তাঁদের উদ্দেশ্য সফল হতে দেননি সাধারণ মানুষ। এই ফলাফলের জন্যে তাঁদের ধন্যবাদ জানাই।’’
কাঁথি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক চন্দ্রশেখর মণ্ডল বলেন, ‘‘আমরা বারবার বলে আসছি, সমবায় সমিতির ভোটকে দেখিয়ে তৃণমূল মানুষের কাছে জায়গা পাওয়ার চেষ্টা করছে। কারণ, এই দুর্নীতিগ্রস্ত দলকে অনেক আগেই মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছেন। সমবায় নির্বাচন প্রতীকে হয় না। তাই এখানে রাজনৈতিক দলের নাম ব্যবহার হয় না। কিন্তু তৃণমূল দেখাতে চাইছে, মানুষ তাদের সঙ্গে রয়েছে। আসলে তৃণমূলের পায়ের তলার মাটি অনেক আগেই আলগা হয়ে গিয়েছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.