দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: পঞ্চায়েত ভোটে ভাঙড়ের (Bhangar) সব আসন হারবে শাসকদল। জেলমুক্তির পর নিজের বিধানসভা কেন্দ্র ভাঙড়ে পা রেখে হুঙ্কার আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির। একইসঙ্গে সদ্য ভাঙড়ে সাংগঠনিক দায়িত্ব পাওয়া তৃণমূলের (TMC) শওকত মোল্লাকেও ছুঁড়ে দিলেন চ্যালেঞ্জ। তাঁর কটাক্ষ, ”আমাকে ভয় পায় বলে স্পেশ্যাল অবজারভার রাখা হয়েছে। স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই অবজারভার হলে আরও ভাল লাগত। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সিন্ডিকেট, জলাজমি ভরাট ও সরকারি টাকা মারার জন্য গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব হয়। আমরা এইসব দুর্নীতি বন্ধ করব।”
মাসখানেক আগে ভাঙড়ের হাতিশালাই হয়ে উঠেছিল রণক্ষেত্র। জ্বলেছিল আগুন। সপ্তাহখানেক আগে ৪২ দিন জেলবন্দি থাকার পর সদ্যই জামিনে মুক্তি পেয়েছেন নওশাদ সিদ্দিকি (Nawsad Siddique)। আর তারপর সেই হাতিশালা হয়েই রবিবার প্রথম ভাঙড়ে পা রাখলেন আইএসএফ বিধায়ক। সমর্থকেরা উচ্ছ্বাস, ফুলের মামলায় বরণ করে নেন তাঁকে।
ভাঙড়ে অশান্তি এড়াতে নওশাদ সিদ্দিকির গাড়ির সঙ্গে ছিল বিশাল পুলিশ বাহিনীও। এছাড়া বিধায়কের কালো গাড়িটাকে ঘিরে ছিল দলীয় কর্মী-সমর্থকদের বাইক বাহিনী। ঘটনাবহুল হাতিশালার উপর দিয়েই সদর্পে এসকর্ট করে নিয়ে যাওয়া হয়। ভাঙড়ে বিধায়কের প্রবেশে সেখান এদিন উৎসবের মেজাজ।
এদিন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayet Election) প্রসঙ্গে নওশাদ জানান, ”পঞ্চায়েত ভোটে শাসকশূন্য হয়ে যাবে ভাঙড়। যে দুর্নীতি, অনাচারের শিকার হয়েছে ভাঙড়ের মানুষ, এবার তাঁরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় তাঁর জবাব দেবে।” নওশাদের আরও দাবি, ”আমাকে বদনাম করার জন্য চক্রান্ত করে জেলে রাখা হয়েছিল। কর্মী-সহ ভাঙড়ের মানুষের এই উচ্ছ্বাস আমাকে শক্তি জোগাচ্ছে। বিগত দেড় মাস ধরে মানুষকে যে পরিষেবা দিতে পারিনি, আজ অফিসে গিয়ে সেই পরিষেবা দেওয়ার কাজ শুরু করব। মানুষের অভাব অভিযোগের কথা শুনে সাধ্যমতো সমাধানের চেষ্টা করব।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.