সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সন্দেশখালি ইস্যু এখনও টাটকা মানুষের মনে। তারই মাঝে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা তৃণমূলের। বসিরহাটের তারকা সাংসদ নুসরত জাহান আর পাননি টিকিট। তাঁর বদলে এবারের লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Vote 2024) ভূমিপুত্র হাজি নুরুল ইসলামের মতো দক্ষ সংগঠকের উপর আস্থা রেখেছে ঘাসফুল শিবির। শোনা যাচ্ছে, তাঁর প্রতিপক্ষ হিসাবে বিজেপির সম্ভাব্য প্রার্থী ক্রিকেটার মহম্মদ সামি। যদিও, বিষয়টি এখনও জল্পনার স্তরেই রয়েছে। কোনও তরফ থেকে জল্পনায় চূড়ান্ত সিলমোহর পড়েনি।
২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী ছিলেন হাজি নুরুল ইসলাম। বসিরহাট কেন্দ্রে ঘাসফুল ফুটিয়েছিলেন তিনি। তবে ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে বসিরহাট কেন্দ্র থেকে আর টিকিট পাননি। জঙ্গিপুর থেকে ভোটে লড়েছিলেন। সেখানে অবশ্য জিততে পারেননি। তাঁর পরিবর্তে ইদ্রিস আলি ভোটে লড়ে জিতে যান। এর পর বিধানসভা ভোটে লড়েন। ২০১৬ এবং ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে হাড়োয়া থেকে জেতেন। হাড়োয়ার বিধায়ক হলেও বসিরহাট সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের প্রথমে চেয়ারম্যান ছিলেন। গত বছর নভেম্বরে বসিরহাট সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি হন। এবার তাঁকেই লোকসভার মুখ হিসাবে বেছে নিল তৃণমূল।
গত লোকসভা নির্বাচনে তারকা প্রার্থী নুসরতেই আস্থা রেখেছিল তৃণমূল। এবার কেন দক্ষ সংগঠককেই তুরুপের তাস করল ঘাসফুল শিবির? রাজনৈতিক মহলের মতে, নুসরতকে নিয়ে জনমানসে ক্ষোভ ছিল। তারকা ইমেজে ভোটে জিতলেও কোনওদিন জনপ্রতিনিধি হয়ে উঠতে পারেননি নুসরত। সম্প্রতি সন্দেশখালি কাণ্ডের পর তারকা সাংসদের দেখা না মেলায় আরও হতাশ বসিরহাটের মানুষজন। সম্ভবত সে কারণে হাইভোল্টেজ কেন্দ্রেই দক্ষ সংগঠকেই আস্থা তৃণমূলের।
বসিরহাট উত্তর, বসিরহাট দক্ষিণ, বাদুড়িয়া, হাড়োয়া, মিনাখাঁ, সন্দেশখালি ও হিঙ্গলগঞ্জ – এই সাত বিধানসভা নিয়ে গঠিত বসিরহাট লোকসভায় সংখ্যালঘু ভোট বড় ফ্যাক্টর। এই লোকসভা কেন্দ্রে মুসলমান ভোটার ৪৯ শতাংশ। রাজনৈতিক মহলের কেউ কেউ মনে করছেন, সংখ্যালঘু ভোটকে টার্গেট করতে ফের হাজি নুরুল ইসলামকে প্রার্থী হিসাবে বেছে নিল তৃণমূল। এরই মধ্যে আবার বসিরহাট লোকসভা আসন থেকে বিজেপির সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম নিয়ে তুমুল জল্পনা।
কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, ভারতের জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার মহম্মদ সামিকে এবার টিকিট দিতে চলেছে বিজেপি। যদিও, বিষয়টি এখনও আগাগোড়া জল্পনার স্তরেই রয়েছে। কোনও তরফ থেকে চূড়ান্ত সিলমোহর পড়েনি। কান পাতলে এও শোনা যাচ্ছে, বসিরহাট লোকসভা থেকে এবার নিজেদের প্রার্থী দিতে চলেছে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট বা আইএসএফ। সেক্ষেত্রে তারাও যদি সংখ্যালঘু প্রার্থী ঘোষণা করে, তাহলে তা শাসকদল বা বিজেপি-দুইয়ের ক্ষেত্রেই মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। সে কারণেও হাজি নুরুল ইসলামকে প্রার্থী হিসাবে তৃণমূল বাছতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। তবে শেষ পর্যন্ত কে জেতেন, সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.