সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোট বড় বালাই৷ পাঁচ বছরের মধ্যে প্রথমবার সাংবাদিক বৈঠকে বসলেন নরেন্দ্র মোদি৷ যদিও বৈঠকের মূল বক্তা ছিলেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ’ই৷ প্রধানমন্ত্রীর গলায় শুধুমাত্র শোনা গেল আত্মবিশ্বাসী দু,এক কথা৷ দাবি তুললেন, ফের ৩০০ আসন নিয়ে সরকার গড়বেন৷ কিন্তু দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড, অমিত শাহ সাংবাদিক বৈঠকেও বাংলার বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন৷ অভিযোগ তুললেন, বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনকালে অন্তত ৮০ জন বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়েছে৷
মোদি-শাহ’র প্রায় আধঘণ্টার সাংবাদিক বৈঠকের এই অংশটিকেই হাতিয়ার করেছে রাজ্যের শাসকদল৷ জানা যাচ্ছে, অমিত শাহর এই অভিযোগ নিয়েই নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হচ্ছে তৃণমূল৷ তাঁদের যুক্তি, বাংলায় প্রচারের শেষ সময়সীমা ছিল বৃহস্পতিবার রাত দশটা পর্যন্ত৷ সেই নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও বাংলা নিয়ে কথা বলার অর্থ, এখানকার বিজেপি কর্মীদের উৎসাহিত করা, বকলমে যা প্রচারের শামিল৷ তাই নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ লঙ্ঘন করেছেন বিজেপি শীর্ষ নেতারা, এই অভিযোগই কমিশনের কাছে তুলে ধরতে চায় রাজ্যের শাসকদল৷
গত মঙ্গলবার সন্ধেয় শহরে অমিত শাহর রোড শো চলাকালীন কলেজ স্ট্রিট চত্বরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়, যার জের গড়ায় বিদ্যাসাগর কলেজে ঈশ্বরচন্দ্রের শ্বেতমূর্তির ভাঙচুর পর্যন্ত৷ এবং তার জেরেই পরবর্তী সময়ে বেশ কয়েকটি তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ নেয় নির্বাচন কমিশন৷ শেষ দফা অর্থাৎ আগামী ১৯ মে ভোটের আগে কমিশন তার বিশেষ ক্ষমতা অনুযায়ী একেবারে নজিরবিহীনভাবে ৩২৪ ধারা প্রয়োগ করে বাংলায়৷ যার ফলে রাজ্যে রাজনৈতিক প্রচারের সময়সীমা কমে যায় বেশ কয়েকঘণ্টা৷ সারা দেশে যখন শুক্রবার বিকেল ৬টা পর্যন্ত প্রচারের সময়সীমা, সেখানে পশ্চিমবঙ্গে প্রচার শেষের নির্ধারিত সময় বেঁধে দেওয়া হয় বৃহস্পতিবার রাত দশটা পর্যন্ত৷
কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল, প্রচারের শেষলগ্নে সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব বাংলাকে বাদ দিয়ে কথা বললেন না৷ কাজেই, কমিশনের বেঁধে দেওয়া সময়ের বাইরে গিয়েই তাঁরা বাংলার হয়ে প্রচার করলেন৷ একে নির্বাচনী বিধিভঙ্গ বলে তৃণমূল চিহ্নিত করেছে৷ আর এই যুক্তি নিয়েই রাজ্যের শাসকদলের নেতারা নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করতে চান বলে অভিযোগ৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.