Advertisement
Advertisement

Breaking News

রাজনৈতিক সংঘর্ষ কুলতলিতে

রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত কুলতলি, গণপিটুনিতে খুন তৃণমূল ও SUCI কর্মী

SUCI সদস্যকে পিটিয়ে গাছে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ।

TMC-SUCI clash at Kultali, 2 killed from each political party by mob lynching

প্রতীকী ছবি।

Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:July 4, 2020 11:03 am
  • Updated:July 4, 2020 11:33 am  

দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: ফের রাজনৈতিক সংঘর্ষে রক্তাক্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলি। খুন, পালটা খুন ঘিরে সাতসকালে তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ল এলাকায়। দু’দলের দুই কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত অশ্বিনী মান্না যুব তৃণমূল কর্মী। মৃত্যু হয়েছে এসইউসিআই (SUCI) জেলা কমিটির সদস্য সুধাংশু জানার। আশঙ্কাজনক অবস্থায় পাঁচজন ভরতি বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে মৈপিঠ থানার পুলিশ।

শুক্রবার রাতে রাজনৈতিক সংঘর্ষ শুরু হয়ে কুলতলির ওই গ্রামে। অভিযোগ, অশ্বিনী মান্না শুক্রবার রাতে দলবল নিয়ে চড়াও হয় ওই এলাকার কিছু এসইউসিআই সমর্থকদের বাড়িতে। প্রায় ১০ টি বাড়িতে লুটপাট, ভাঙচুর চালানো হয়। এলোপাথাড়ি মারধর করা হয় কয়েকজনকে। তাতে আহত হয়ে পাঁচজন এসইউসিআই কর্মী বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ভোলানাথ গিরি নামে এক তৃণমূল কর্মীও গুরুতর জখম। তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে চিকিৎসার জন্য।

Advertisement

[আরও পড়ুন: মাঝরাতে তীব্র বিস্ফোরণে কাঁপল এলাকা, মুর্শিদাবাদে বোমা ফেটে হাত উড়ে মৃত ২]

এই ঘটনার পর এলাকার মানুষজন পালটা প্রতিবাদ শুরু করেন, গণপিটুনি দিয়ে খুন করা হয় যুব তৃণমূল কর্মী অশ্বিনী মান্নাকে। শনিবার সকালে এসইউসিআই জেলা কমিটির সদস্য সুধাংশু জানাকে বাড়ি থেকে বের করে মেরে বাড়ির সামনে গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। স্ত্রী গীতা জানা এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য, তাঁর সামনে এই ঘটনা ঘটে। সুধাংশুকে পিটিয়ে মারার সময় এলাকায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের যুব নেতা গণেশ মণ্ডল, এমনটাই অভিযোগ এসইউসিআই-এর প্রাক্তন বিধায়ক জয়কৃষ্ণ হালদারের। এ বিষয়ে জয়নগরের প্রাক্তন এসইউসিআই সাংসদ তরুণ মণ্ডল অভিযোগ করে বলেন, ”ওই এলাকার পঞ্চায়েতের দখল কার উপর থাকবে, তা নিয়ে ঝামেলা। আমফান দুর্নীতি নিয়ে যাতে আমাদের দলের কর্মী-সমর্থকরা এলাকায় মুখ খুলতে না পারে, তার জন্য এই খুনোখুনি করেছে তৃণমূল।”

[আরও পড়ুন: ৪ বছর ধরে আদিবাসী নাবালিকাকে ‘ধর্ষণ’, কাঠগড়ায় তৃণমূল উপপ্রধান]

অন্যদিকে, তৃণমূল দাবি করেছে, ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিত। মৈপিঠ পঞ্চায়েতের দখল নিতে এসইউসিআই এই খুনের ঘটনা ঘটিয়েছে। এ বিষয়ে তৃণমূলের ব্লক যুব সভাপতি গণেশ মণ্ডল বলেন,”অশ্বিণী মান্না এলাকার জনপ্রিয় তৃণমূল কর্মী ছিলেন। তিনি খুন হতেই এলাকার মানুষের জনরোষ গিয়ে পড়ে সুধাংশু জানার বাড়িতে। এলাকার মানুষকে পিটিয়ে খুন করেছে তাঁকে। এর সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই।” এই ঘটনার পর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে ওই এলাকায়। ইতিমধ্যেই উভয়পক্ষ মৈপিঠ কোস্টাল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement