বিপ্লবচন্দ্র দত্ত ও দেবব্রত মণ্ডল: দুপুরেই প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কয়েকঘণ্টার মধ্যেই প্রচারে নামলেন শান্তিপুর ও গোসাবার তৃণমূল প্রার্থী। বিতরণ করা হল মিষ্টিও।
পরপর দু’বার শান্তিপুর বিধানসভা আসনে জয়ের মুকুট ছিনিয়ে নিয়েছিল বিজেপি (BJP)। ফলে এবার হারানো জমি ফিরে পেতে উপনির্বাচনে তৃণমূল কাকে প্রার্থী করবে, সেদিকে নজর ছিল সকলের। প্রার্থী হিসেবে উঠে এসেছিল একাধিক নাম। আর শান্তিপুরের বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী বাড়ির বংশধর ব্রজকিশোর গোস্বামীকে প্রার্থী করাটাই তৃণমূল কংগ্রেসের ‘মাস্টারস্ট্রোক’ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। মাত্র ৩২ বছর বয়সী ব্রজকিশোর গোস্বামী অদ্বৈত আচার্যের বংশধর। শান্তিপুরের বিগ্রহ বাড়িগুলির সঙ্গে তার আন্তরিক যোগাযোগ। রাজনৈতিক জগতে নতুন মুখকে প্রার্থী করেও তৃণমূল কংগ্রেস প্রথমেই লড়াইয়ে যে এক কদম এগিয়ে গেল, তা বলাই বাহুল্য।
প্রার্থী হিসাবে নাম ঘোষণার পর ব্রজকিশোরী গোস্বামী বলেন,”তৃণমূল কংগ্রেস এমন একটি দল, যেখানে সবধর্মের মানুষকে রক্ষা করে। আমি চাই, মন্দির, মসজিদ, গির্জা-সহ সবকিছুর উন্নয়ন করতে।” রাজনীতিতে তিনি আনকোরা মুখ, একথা মানতে নারাজ ব্রজকিশোর গোস্বামী। তাঁর কথায়, “রাজনীতিতে সক্রিয়তা আমার ছিল না, এটা আমি বিশ্বাস করি না। ইফতার পার্টি থেকে শুরু করে যেকোনও অনুষ্ঠান তা রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক হোক, আমি গিয়েছি। আমার পড়াশোনা রাজনীতি নিয়েই।” দলের প্রার্থী নির্বাচনে খুশি স্থানীয় নেতারাও। তৃণমূল কংগ্রেসের রানাঘাট সাংগঠনিক জেলার সভাপতি রত্না ঘোষ কর বলেন, “আমরা ধর্মের সমীকরণ নিয়ে রাজনীতি করি না। আমাদের রাজনীতি উন্নয়ন নিয়ে। মানুষের উন্নয়নের কাজ করতে পারবেন যিনি, এমন একজনকেই শান্তিপুরের প্রার্থী করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমাদের জয় একশো শতাংশ নিশ্চিত।” রবিবার সন্ধেয় দলের প্রার্থীর সঙ্গে মিটিং করেছেন নেতা-কর্মীরা।
অন্যদিকে প্রচারে নেমেছেন গোসাবার প্রার্থী সুব্রত মণ্ডলও। নাম ঘোষণার পরই গোসাবা বাজারে একটি মিছিল করেন তিনি। সেখানে বিতরণ করা হয় রসগোল্লা। দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত তিনি। বালি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন বেশ কয়েক বছর। এবার বিধায়ক হওয়ার লড়াইয়ে শামিল হলেন সুব্রতবাবু।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.