ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: লোকসভা ভোটের ফলে কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে বিজেপি। ভাঙন ধরেছে শাসকদলের অন্দরেও। বীরভূমে গেরুয়া শিবিরকে ঠেকাতে সিপিএমকে তাদের কার্যালয়কে ফিরিয়ে দিল তৃণমূল। খুশি স্থানীয় বাম নেতারা।
লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক পড়ে গিয়েছে। এবারের লোকসভা ভোটে বীরভূমের দুটি আসনই অবশ্য নিজেদের দখলে রেখেছে এ রাজ্যের শাসকদল। কিন্তু ভাঙন ঠেকানো যাচ্ছে কই! দিন কয়েক আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন খোদ তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের খুড়তুতো ভাই সুমিতরঞ্জন মণ্ডল। তাঁর সঙ্গে দল ছেড়েছেন বোলপুর পুর এলাকা ও আশেপাশের এলাকার প্রায় হাজার দেড়েক তৃণমূল কর্মী। পঞ্চায়েত ভোটের সময়ও কিন্তু পরিস্থিতি তৃণমূলের অনুকূলেই ছিল। জেলায় কার্যত বিনা প্রতিন্দন্দ্বিতায় জিতেছিল রাজ্যের শাসকদলই।
জানা গিয়েছে, এক বছরের বেশি সময় ধরে বোলপুরের রায়পুর-সুপুর পঞ্চায়েতের রজতপুরে সিপিএমের পার্টি অফিসটি দখল করে রেখেছিল তৃণমূল। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছে, এলাকায় দলের যাবতীয় কাজকর্ম চলত ওই পার্টি অফিস থেকেই। লোকসভা ভোটের পর বীরভূমে বিজেপিকে ঠেকাতে সেই পার্টি অফিসটি ফের সিপিএমকে ফিরিয়ে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় নেতারা। রাতারাতি দলের প্রতীক ও রং মুখে পার্টি অফিসটির দেওয়ালে সাদা রং করলেন তাঁরা। মঙ্গলবার সকালে পার্টি অফিসটি আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দেওয়া হল এলাকার সিপিএম কর্মীদের হাতে। দীর্ঘদিন বাদে পার্টি অফিস ফিরে পেয়ে খুশি বিরোধী দলের কর্মী-সমর্থকরা। বোলপুরের রজতপুরের স্থানীয় সিপিএম নেতা গৌতম ঘোষ বলে, ‘এলাকায় আমাদের সংগঠন বাড়ছে। তাই পার্টি অফিসটি ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছে তৃণমূল।’ প্রসঙ্গত, গত পঞ্চায়েত ভোটে বোলপুরের রায়পুর-সুপুর পঞ্চায়েতের এই রজতপুর থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতে তৃণমূল কংগ্রেস।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.